পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও একটি বাল্য বিয়ে পন্ড হবার জেরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ নারীসহ ৯ জন গুরুতর জখম হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় একটি বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওই রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। ওই গ্রামের মৃত হাশেম বেপারীর স্ত্রী শাহাবানু(৭০) জানান, তার ছেলে রাজা মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মৃত. মোসলেম বেপারীর ছেলে রত্তনের দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার রাতে রত্তন বেপারীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী রাজা মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্রের কোপে রাজা মিয়া বেপারি(৫০), মাসুম(৩২) ও শিমু বেগম(৪০) গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সুযোগে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে তাকে (শাহাবানু) পিটিয়ে আহত করে বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘরটি সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ব্যপারে রত্তন বেপারীর সাথে যোগাযোগ করতে না পারলেও তার ভাই মানিক বেপারীর স্ত্রী রুনু বেগম জমি সংক্রান্ত বিরোধের দ্বন্দের সত্যতা নিশ্চি করে বলেন, সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন একটি বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেয়। এতে রাজা মিয়া বেপারীর গ্রুপের ধরনা আমার ভাষুর রত্তন বেপারী প্রশাসনকে সংবাদ জানিয়েছে। প্রশাসনিক লোকজন চলে যাবার পর রাজা মিয়া বেপারীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি ভাড়াটিয়া বাহিনী এলাপাথারি হামালা চালিয়ে ও কুপিয়ে মিজানুর বেপারী(৩২), জেসমিন(৩৮), শাহিনুর(৫০), আলামীন(২৮), ও রত্তন বেপারী(৬০)কে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রত্তন বেপারীসহ ৩ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসাতালে প্রেরণ করেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।