বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর তীরবর্তী তিন ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ইট সোলিং রাস্তার বেহাল দশার কারনে জনসাধরণ সহ যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচলে দারুন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নদীর করাল গ্রাসে রাস্তাটি বিলীন হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে রাস্তাটি নির্মানে কোন উদ্যোগ না থাকায় ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। বলইবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রেণীখালী বাজার হয়ে পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী বাজার অভিমুখে ৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহরবুনিয়া, পুটিখালী ও পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ হাজার লোক যাতায়াত করে। ভ্যান, মোটর সাইকেল, অটো ভ্যান সহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নানা জায়গায় খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। গত এক কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২ কিমি. রাস্তা নদীর ভাঙ্গনে ধসে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গার রাস্তার ইটের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়না। যার ফলে রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় , দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় , ১টি কলেজ , ১টি মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক। ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, সোনাখালী এ গুরুত্বর্পূন রাস্তাটি নদীগর্ভে ভেঙ্গে যাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়া বিষয়ে তিনি খোজ নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।