দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখে বর্তমান লকডাউন একটি বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন খুলে দিতে হবে। এটাকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে এবং নিরাপদ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই বলে এসেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলবে। এবং যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করবে। চালক এবং হেলপারকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এটাকে মনিটরিং করার জন্য সরকার শুধুমাত্র পুলিশনির্ভর না হয়ে পুলিশের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। দূরপাল্লার সকল পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটগণ পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদেরকে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি চেকিংয়ের বিষয়টি হবে ধারাবাহিক। প্রতিটি গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে মানুষের দুর্ভোগটা কমবে। এবং স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমণের সংখ্যাটাও কমবে। এটাই হচ্ছে একটি যথাযথ সমাধান। কারণ, মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য করতে পারেন না। সাধারণ মানুষকে একদিকে যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আবার একইভাবে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ঝুঁকি এবং ভোগান্তি দুটোই কমাতে হবে।
এখন যেটা আছে এটা একটি বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা। এটাকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। এবং নিরাপদ করতে হবে। করোনার হার্ড ইমিউনিটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে হার্ড ইমিউনিটি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সাড়ে ১২ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে। তার মানে সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে স্বল্প এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের ২৫ কোটি ডোজ টিকা আহরণ করতে হবে। অথবা নিজস্ব উৎপাদনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম কাজ হবে ২৫ কোটি টিকা আহরণ করার জন্য একটি কৌশল ঠিক করে সেটা বাস্তবায়ন করা। সেটা ক্রয়ের জন্য অথবা উৎপাদনের জন্য যা যা করণীয় তা করতে হবে। এবং এগুলো যে সকল দেশ টিকা উৎপাদন করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে করতে হবে।