কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ট্যাফে ট্রাক্টর চাপায় ১ জন নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহত হছেছেন। ২৩ মে রবিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মির্জাপাড়া নামক স্থানে রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কে এ দূর্ঘনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবক টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাটুভাঙা এলাকার নূর হোসেনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম(২৩)। আহতরা হলেন, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের নতুন যাদুরচর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে লাল মিয়া(৪০), বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে সবুজ মিয়া(১৩) ও রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি গ্রামের মৃত ওসমান গনীর ছেলে লালচাঁন(৫০)। রৌমারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহত সাদেকুলের মাথা থেথলে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে ফলে হাসপালে ভর্তির পরই তিনি মারা যান। আহতদের অবস্থা অবনতি ঘটায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক্টরদ্বারা বালু উত্তোলন ও ব্যবসার কারনে একদিকে যেমন রাস্তাঘাট বেহালদশার সৃষ্টি হয়েছে তেমনি অহরহ দুর্ঘনা ঘটে মানুষ নিহত ও আহত হচ্ছে। বিষয়টি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনিক গাফিলাতির কারনে এ দুর্ঘনার স্বীকার হচ্ছে বারবার। লাভবান হচ্ছে বিশেষ একটি মহল। সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী মির্জাপাড়া গ্রামের মমিনুল ইসলাম(৫৫) জানান, রৌমারী থেকে ছেড়ে আসা দুটি বালুবোঝাই ট্রাকটর (কাঁকড়া) পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে আসছিল। একই সময়ে বিপরিত দিক থেকে দু’জন যাত্রী নিয়ে রৌমারীর দিকে যাচ্ছিল একটি অটোভ্যান। এসময় অটোভ্যানকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে রাস্তার পার্শের গর্তে পড়ে যায় একটি ট্রাকটর। ভ্যান চালকসহ ৩ জন ও ট্রাকটরের হেলপার গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।