গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নীলফামারী জলঢাকার জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুটছে বাশঁ বাগান ও গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে।এদিকে বয়স্ক ও শিশুরা এই তিব্র গরমে আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তিব্র গরমের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো অতিরিক্ত গরমের কারণে কাজে যেতে পারছে না। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক গুলিতে তিন চাকার যানবাহন অটোরিকসা চলাচল খুব কম দেখা যাচ্ছে। মানুষ কষ্ট করে ধান ও ভুট্টা শুকাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রিক্সা ও ভ্যান চালকরা অনেকেই ক্লান্ত শরীরে রিকসাতেই সময় কাটাচ্ছে।শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরে বেড়েছে হাতপাখার কদর। গরম সহ্য করতে না পেরে মানুষ গ্রামের বাশঁ বাগান ও ফাঁকা জায়গা গুলোতে প্রায় জনকেই ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। শুধু মানুষ বা প্রাণীকুল নয়, গরমের প্রভাব পড়ছে গাছ-গাছালিতেও। কোথাও কোথাও আম ও লিচুর গাছ শুকিয়ে গাছ থেকে ফল ঝরে পড়তে দেখা যাচ্ছে। তাছারা ডাব, তরমুজ, শসা ও খিরাসহ পানি জাতীয় ফল ও সবজির দাম বাড়ছে হু হু করে ফলে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ গুলি পরছে বিপাকে।এদিকে দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় লকডাউন থাকার পর আজ থেকে চলছে দুর পাল্লার যানবাহন। এ বিষয়ে উপজেলা কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক অফিসার ডাঃ মেসবাহুর প্রধান মেসবার সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি জানান, গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া দিন-মজুরদের হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে পেটের পীড়াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।এছারাও অন্যান্য অসুখত আছে।তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে কৃষকদের ধানকাটা মৌসুম চলছে এতে করে তাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে তাই বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি ও ওরস্যালাইন পান করতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধের সকল স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলতে হবে।