জনগুরুত্বপূর্ণ মাটির রাস্তা নির্মানের নামে গ্রামবাসীকে গত একমাস পর্যন্ত চরম ভোগান্তিতে ফেলেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য। ভ্যেকু মেশিন দিয়ে দুটি রাস্তার মাটি কেটে ফেলে রাখা হলেও ড্রেসিং না করায় ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারনও পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছেন না। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের। স্থানীয়রা জানান, গত একমাস পূর্বে দক্ষিণ সাকোকাঠী কবিরাজ বাড়ি থেকে গনি খানের বাড়ি পর্যন্ত এবং দক্ষিণ সাকোকাঠী জামে মসজিদ থেকে যাত্রাঘাটা পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ফুট দৈর্ঘের দুটি রাস্তা উন্নয়নের জন্য ভ্যেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হয়। সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লার নির্দেশে কাজের তদারকি করেন স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক সরদার। সূত্রে আরও জানা গেছে, ভ্যেকু মেশিন দিয়ে বড় বড় মাটির চাকা কেটে যত্রতত্র ফেলে রাখার পর গত এক মাসেও রাস্তার ড্রেসিং না করায় জনগুরুত্বপূর্ণ দুটি রাস্তা দিয়ে যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারনও পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছেন না। ভূক্তভোগী এলাকাবাসি জানান, ওই দুটি রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সম্পূর্ণ অনুপযোগী হওয়া সত্বেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে একাধিকবার অবহিত করা সত্বেও তিনি কোন কর্নপাত করছেন না। বর্তমানে শুস্ক মৌসুমে ওই এলাকার বাসিন্দারা জমির মধ্যদিয়ে চলাচলা করলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে রাস্তা ড্রেসিং না করলে ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ফারুক সরদার বলেন, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি অনুমতি না দিলে কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় ড্রেসিংয়ের কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা।