বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মিনি সুন্দরবন ও তার আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার খড়িয়া আরুলিয়া, ডুমুরিয়া ও রায়গ্রামের অস্যংখ্য ঘর-বাড়িসহ চিংড়িঘের প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, চিতলমারী সদর উপজেলার পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর দু’পাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে মিনি সুন্দরবন। এখানকার আশপাশের গ্রাম রক্ষার জন্য এ বনের পাশদিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেড়িবাঁধ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে হঠাৎ চিত্রা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে গতকাল বুধবার সকালে এ বাধটি ভেঙে যায়। এতে মিনি সুন্দরবন ও তার আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার আরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন রায় সুনিল রায়সহ অনেকে জানান, চিত্রা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনের পাশের বাঁধটি হঠাৎ করে সকালে ভেঙে যায়। মুহূর্তে তাদের গ্রামসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্লাবিত হয়েছে। অনেকে বাড়ির মালামাল সরাতেও সুযোগ পাইনি। পানির তোড়ে সবই ভেসে যাচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তারা। চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলীর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘূর্ণি ঝড় ইয়াস মোকাবেলার জন্য সর্বাত্ত্বক প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। সকলকে নিরাপদে থাকার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় তিনি পরিদর্শনে গিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রাহন করবেন।