প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গগুলো হচ্ছে- জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এসব উপসর্গ নেই এমন ৮০০ জনকে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের মোট ব্যক্তিদের মধ্যে এই ৮০০ ব্যক্তির মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ কিছুই ছিল না। তারা সুস্থও আছেন।
শুক্রবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
ওই ৮০০ জনের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা রোগীকে সুস্থ বলতে গেলে পরপর দু’টি নমুনা টেস্টে নেগেটিভ আসতে হয়। কারো কারো এখনো একটি টেস্ট হয়নি। কারো কারো একটি টেস্ট হয়েছে। এই পর্যায়ে আছে। তবে তাদের কারো মধ্যেই কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃদু সংক্রমণ হয়। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে। মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ মানুষের লক্ষণ ও উপসর্গ ব্যাপক আকারে প্রকাশ পায়। এদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল ও আইসিইউ সাপোর্ট লাগে।
তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা কোনো অসুস্থ রোগী না। তারা পজিটিভ রোগীর কাছাকাছি এসেছে। তাই তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। তারা অসুস্থ না।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশবাসীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের সামাজিকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। এটা সামাজিকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তাকে যেন আমরা হেয় না করি। কারণ যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত তারা কেউ দোষী নয়। যে কোনো অসুখের মতো এটাও একটা অসুখ। এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়। আজ যে নেগেটিভ আছে, কাল আপনার পজিটিভ যে হবে না- এটার কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি না। আমরা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছি না। কাজেই কাউকে হেয় করবেন না। কাউকে যেন আমরা অপরাধীর মতো গণ্য না করি। সবাইকে মানবিক আচরণ করার বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
এমআর