গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জনসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইউপি সদস্য সিদ্ধার্থ বাড়ৈ। সিদ্ধার্থ বাড়ৈ উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য। সিন্ধার্থ বাড়ৈ তার ওয়ার্ডের প্রায় ৪শত পরিবারের ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছেন। এই ইউপি সদস্য প্রতি বছর তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৭০হাজার করে টাকা দিয়ে তার ওয়ার্ডের জনগনের ট্যাক্স পরিশোধ করছেন। বিগত ৫বছর ধরে তিনি এই কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। এ ছাড়াও তিনি জনগনের চলাচলের জন্য এলাকায় ৪শত ফুট দৈঘ্য ও ১০ফুট প্রস্থ একটি বিধ্বস্ত রাস্তা নিজ অর্থায়ণে সংস্কার করে দিয়েছেন। তার এ ধরণের কর্মকান্ড পুরো ইউনিয়নে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। শুধু ট্যাক্স ফ্রি বা রাস্তা সংস্কারই নয়, সিদ্ধার্থ বাড়ৈ এলাকার মাদক নির্মূলে গ্রহণ করেছেন নানা উদ্যোগ। যুব সমাজকে মাদকের নীলছোবল থেকে ফেরাতে নিজ অর্থে ক্লাব ঘর নির্মাণ করে এলাকার যুবকদের কিনে দিয়েছেন ক্রীড়া সামগ্রী। এলাকায় শিক্ষার প্রশার ঘটাতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। দুস্থ ও বিধবা নারীদের সাবলম্বী করতে তিনি এলাকায় বিভিন্ন ধরণের কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। কান্দি ইউয়িনের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খালেক সরদার, সিদ্দিক সরদার বলেন, ইউপি সদস্য সিদ্ধার্থ বাড়ৈ ৫বছর আগে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি এলাকার জনগনের ট্যাক্স ফ্রি করে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। সে মোতাবেক তিনি তার কথা রেখেছেন। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫বছর ধরে আমাদের ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছেন। নিজ অর্থায়ণে আমাদের যাতায়াতের জন্য একটি বিধ্বস্ত রাস্তা সংস্কার করে দিয়েছেন। শিক্ষা ও খেলাধুলার বিকাশ এবং মাদক নির্মূলে কাজ করছেন। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এ ধরণের সদস্য নির্বাচিত হলে দেশের উন্নয়ন হবে বলে আমরা বিশ^াস করি। ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনা অধিকারী বলেন, ইউপি সদস্য সিদ্ধার্থ বাড়ৈ একজন ভালো মানুষ। তিনি আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের ভাতা করে দিয়েছেন। এ জন্য সে আমার কাজ থেকে একটি টাকাও নেননি। রুহিদাস অধিকারী ও গুরুদাস অধিকারী বলেন, সিন্ধার্থ বাড়ৈ না থাকলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারতাম না। সে বিভিন্ন সময়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার জন্য আমাদেরকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। ইউপি সদস্য সিদ্ধার্থ বাড়ৈ বলেন, মানবসেবাই পরম ধর্ম। আমি জাতপাতের উর্ধে উঠে মানুষের সেবা করতে চাই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি এই মানবসেবা চালিয়ে যেতে চাই। যতদিন বেঁচে থাকবো এ ভাবেই মানুষের সেবা করে যাবো। সেবার জন্য বেশী অর্থের প্রয়োজন হয় না। সেবা করার জন্য একটি ভালো মনই যথেষ্ঠ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য সিন্ধার্থ বাড়ৈর কর্মকান্ড সত্যিই প্রশাংসার দাবি রাখে। প্রতিটি ইউনিয়নে সদস্যরা যদি সিদ্ধার্থ বাড়ৈর মতো কাজ করতো তা হলে আমাদের দেশ দ্রুতই সামনের দিকে এগিয়ে যেত। সিন্ধার্থ বাড়ৈর কর্মকান্ড কান্দি ইউনিয়নে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।