রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

ভোলায় এক লাখ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

জেলায় চলতি মৌসুমে ৯৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে উফশী ৮৩ হাজার ৫২০ ও স্থানীয় জাত ১৫ হাজার ৯৭০ হেক্টর। ইতোমধ্যে প্রায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯২৭ মে:টন চাল উৎপাদনের টার্গেট গ্রহণ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে এ অঞ্চলে আউশের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার রয়েছে।

উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে জানান, বাংলাদেশে আউশ ধান আবাদে ভোলা প্রথম স্থানে রয়েছে। প্রতি বছরই এ জেলায় আউশের আবাদি জমির পরিমান বাড়ছে। এবছর হেক্টর প্রতি উফশীতে চাল উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ শমিক ৬ মে:টন ও স্থানীয়তে ১ দশমিক ৪ মে:টন করে। শুরুর দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আউশ আবাদে বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মাটি নরম হওয়াতে এখন আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আউশ আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে জেলায় ১৫ হাজার ৮০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে উন্নত বীজ এবং সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। খরিপ-১/২০২১-২০২২ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরকারিভাবে ১২ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি উচ্চফলনশীল জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৮০০ কৃষককে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বীজ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৫ কেজি করে বীজ দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো: এনায়েতউল্লাহ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা’র প্রভাবে যাতে দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হয় সে কারণে এবার আবাদি জমির পরিমান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বছর আউশ আবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টা জমিতে। এ বছর আশা করা হচ্ছে আবাদ আরো বাড়বে। আগষ্টের শেষের দিকে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। চারা রোপণ, সুসম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ কৃষকদের দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com