বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ তথা মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন মুশফিকুর রহীম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠের সেই সিরিজে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ৭৯ গড়ে ২৩৭ রান করেছিলেন মুশফিক। পুরস্কার জেতার পথে পাকিস্তানের ডান হাতি পেসার হাসান আলি ও শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়াবিক্রমকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি খেলা ছিল না। এপ্রিলের ২৯ তারিখ শুরু হয়ে ৩ মে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল পুরস্কারের জন্য। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন লঙ্কান প্রবীন জয়াবিক্রম।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে দুই ফাইফার তথা ৫ উইকেটসহ মোট ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি। কিন্তু এ দুজনের পারফরম্যান্স যথেষ্ট হয়নি মুশফিকের সামনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যাওয়া টেস্টের দুই ইনিংসেই ৪০ করে মোট ৮০ রান করেছিলেন মুশফিক। পরে ঘরের মাঠে হওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেন যথাক্রমে ৮৪ ও ১২৫ রানের ইনিংস, দুটিতেই জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এবার সেই পারফরম্যান্সের সুবাদেই বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্লেয়ার অব মান্থ নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগের চার মাসে এই পুরস্কার জিতেছেন যথাক্রমে রিশাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার ও বাবর আজম। এবার এশিয়ার পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে জিতলেন মুশফিক। তাকে নির্বাচিত করার বিষয়ে আইসিসির ভোটিং একাডেমির প্রতিনিধি ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলার পরও মুশফিকের রান করার ক্ষুধা কমেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সে তার অন্যতম সেরা ফর্মে ছিল। যা তার ধারাবাহিকতা অন্যতম উদাহরণ। তার পারফরম্যান্সের সুবাদেই ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং ও একসঙ্গে উইকেটকিপিং করাটা তার ফিটনেস ও স্কিলেরই পরিচায়ক।’ এদিকে একইদিনে ঘোষিত নারী ক্রিকেটের পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ক্যাথরিন ব্রাইস। নারী-পুরুষ মিলিয়ে স্কটল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে দশে ঢুকেছিলেন তিনি। মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার টি-টোয়েন্টিতে ৯৬ রান ও ৫ উইকেট শিকার করেছেন ক্যাথরিন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রতি মাসের সেরা ক্রিকেটারকে পুরস্কৃত করার এই প্রক্রিয়া চালু করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যেখানে প্রথম পাঁচ মাসেই সেরার পুরস্কার জিতেছেন উপমহাদেশের খেলোয়াড়রা।