ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সীতাকু- উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুন বুধবার উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরের মাঠে এ প্রদর্শনী সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল চারটায়। এদিন সীতাকু- উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারীরা ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল প্রদর্শনের জন্য মেলায় নিয়ে আসে। মেলায় ছোট- বড় বিভিন্ন বয়সের প্রায় শতাধিক ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল প্রদর্শিত হয়েছে। ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত প্রকল্পের আওতায় একইদিন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীতাকু-ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ শাহজালাল মুহাম্মদ ইউনূস। প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ রেয়াজুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডাঃ বায়েজীদ, সাংবাদিক এম কে মনির, ফারহান সিদ্দিক, ইলিয়াছ ভূঁইয়া প্রমুখ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে হবে। আর এজন্য প্রাণি পালন বাড়াতে হবে। খামারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। ডেইরী ও পোল্ট্রি খাতে ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকার যুবকদের বৃহৎ অংশ প্রাণি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে। প্রাণিসম্পদ হতে পারে দারিদ্র্য দূরীকরণের হাতিয়ার। বিশ্বায়নের এ যুগে আধুনিক কলাকৌশলে আমরাও এগিয়ে রয়েছি। সরকার খামারীদের জন্য ঋণ সুবিধা, বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আমাদের দেশের পরিবেশে প্রাণি পালন সহজতর এবং কমব্যয় সম্পন্ন। তাই আমি বলবো প্রাণিসম্পদ বাড়িয়ে আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। এসময় বক্তারা ছাগল পালনে ব্ল্যাকবেঙ্গল জাত সর্বাধিক লাভজনক জানিয়ে বলেন, ব্ল্যাকবেঙ্গল দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং বাজারে এর কদর বেশি বলে অন্যান্য জাতের চেয়ে ব্ল্যাকবেঙ্গল অধিক লাভজনক। ২০২১ সালের ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল প্রদর্শনীতে সীতাকু-ের খামারী নাছিমা ও রাশেদকে দুটি এলইডি টেলিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগলের রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসা ও পালন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।