দুই দিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের বিনাজুড়ি খালের বিকল্প সড়ক ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর আগের সপ্তাহেও উপজেলার ধর্মপুর-বখতপুর সংযোগস্থলে কুমারী ছড়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজের বিকল্প সড়কও ভারী বর্ষণে ভেঙ্গে যায়। তিনটি ব্রীজ নির্মাণের ধীর গতির কারণে ভারী বর্ষণে ভেঙ্গে গেছে বিকল্প সড়ক গুলো। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের উন্নয়ন কাজ বিগত দুই বছরেও শেষ হয়নি। ভাঙ্গা সড়কে চরম জনদূর্ভোগ সৃষ্টির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে দায়ী করছে সংশ্লিষ্টরা।সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা হতে ফটিকছড়ি সদর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি পার্বত্য রাঙ্গামাটি, পার্বত্য খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি-ঢাকা সড়ক এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যাতায়তের বিকল্প সড়ক হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটিতে ৩৮টি ভোট বড় ব্রীজ, কালভার্ট, ইউ ড্রেন, গাইড় ওয়াল, হাট বাজার এলাকায় সিসি ঢালাই সহ সড়কটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে উন্নীত করনের জন্য ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। সড়কটি বাস্তবায়নে মেসার্স আল আমিন এন্ড এম এইচ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে নিয়োগ দেয়া হয়। দীর্ঘ দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও সড়কটির সিংহ ভাগ কাজ শেষ হয়নি। ১৩/১৪ টি কালভার্টের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ৬ ফুট সড়ক উন্নয়নের জন্য অনেক স্থানে মেকাড়ম হয়নি। পূর্বের কার্পেটিং নষ্ট হয়ে সড়কটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই উপজেলার অন্তত ৪ লক্ষ মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা এই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের অবহেলার কথা জানান। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গহিরা -ফটিকছড়ি সড়কের বিকল্প সড়ক গুলো দ্রুত মেরামত করতে এবং কাজের গতি বাড়াতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।