রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

পীরগাছায় ভুল চিকিৎসায় ডান হাত হারালেন তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী চয়ন

গোলাম আযম সরকার (পীরগাছা) রংপুর :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের, ইটাকুমারী গ্রামের নগদ ভগতের শিশু পুত্র চয়ন ভগত স্থানীয় বাবু মিয়ার লিচু গাছ থেকে লিচু পাড়তে গিয়ে, পড়ে গিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে যায় পরে স্থানীয় সাহেব বাজারে কবিরাজের কাছে গিয়ে চিকিৎসাহ গ্রহণ করলে তার ডান হাতটি পঁচন ধরে এর ফলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে মেডিকেলের চিকিৎসকরা জানান, চয়ন ভকতের ডান হাতটি কেটে না ফেললে সমস্ত শরির ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। বাধ্য হয়ে শিশুটির ডান হাতটি ডাক্তারে কেটে ফেলে দেন। শিশুটির বাবা নগদ ভগত বলেন, আমি দিনমজুরি করে খাই, দিনে আনি এবং দিনে খাই আমরা স্বামী এবং স্ত্রী অন্যর জমিতে কাজ না করলে আমাদের পেটে ভাত যায় না। আমরা উপজাতী আমার তিন জন সন্তান আছে এর মধে বড় সন্তানটি মেয়ে, ২য় সন্তান চয়ন কুমরা, চয়ন এবার ইটাকুমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছেন, চয়নের রোল ৯, আমরা যখন বাড়িতে ছিলাম না, সেদিন সবার অজান্তে আব্দুস সোবহানের ছেলে বাবু মিয়া আমাদের সন্তান চয়ন ভকতকে লিচু গাছে জোর পূর্বক উঠিয়ে দেন, সেদিন বৃষ্টি থাকার কারনে লিচু গাছটি ছিল পিচ্চিল , পিচ্ছিল গাছে উঠিয়ে দিলে আমার সন্তানটি গাছ থেকে পড়ে যান, এর ফলে ওর ডান হাতটি ভেঙ্গে যায়, পরে বাবু মিয়া তার পরিচিত স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে হাতটি পাঁচন শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, এরা খুৃবেই গরিব মানুষ একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না, বাবু মিয়ার উচিত ছিল উন্নত চিকিৎসা করার মাধ্যমে শিশুটিকে সুস্থ্য করা কিন্তু বাবু মিয়া তা না করে কবিরাজে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটির জীবন নষ্ট করে দিল। তবে বাবু মিয়া বলেন, আমার কোন দোষ নাই এখানে, আমি উন্নত চিকিৎসা করার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু চয়ন ভকত এর পিতা এবং মাতা আমাকে জানিয়েছে কবিরাজের মাধ্যমে তারা চিকিৎসা করবেন প্রথমের দিকে ওর পিতা-মাতা একজন কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়, আমি তাদেরকে বলেছি যদি কবিরাজের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করতে চান তাহলে আমার পরিচিত সাহেব বাজারে কবিরাজ আছে, আমি সেখানেই চিকিৎসা করাবো। আমি সাহেব বাজারে কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করতে দেই, কবিরাজের কাছে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওর ডান হাতটি পাঁচন শুরু হয়ে যায়, এর ফলে বাধ্য হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ওর পিতা- মাতা সেখানেই ওর ডানটি কেটে ফেলা হয়। তিনি জানান, প্রথমের দিকে যদি কবিরাজের কাছে না গিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতো তাহলে ওর ডান হাতটি কাটা লাগতো না। তবে বাবু মিয়া স্থানীয় ভাবে সবার সাথে পরামর্শ করে চয়ন ভকতকে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। চয়ন ভকতের পিতা নগদ ভগত দেশের বৃত্তশালীদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ছেলেরটি ডান হাতটি যদি কেউ প্লাষ্টিক সার্জারি করে দিত তাহলে তিনি অনেক উপকৃত হতেন। চয়ন ভকতকে সহযোগিতা করতে আগ্রহীরা ০১৪০১৫০৯৭৭৮ (বিকাশ) এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করতে পারেন অথবা ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক নগদ ভগত ৭০১৭৩১৮৩০৭২৪৯ সহযোগিতা পাঠানোর মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারেন। এব্যাপারে পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেই না, অভিযোগ দেওয়া মাত্রই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com