বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর হওয়া সত্ত্বেও যুগ যুগ ধরে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভাঙ্গা টিনশেড ঘরে চলছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম। এ যেন দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই আশির দশকের পর সরিষাবাড়ীর প্রাণকেন্দ্র পৌরসভার কার্যালয়ের ১শ গজ পূর্ব পাশে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় টিনশেড বিল্ডিং স্থাপনের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তর এর কার্যক্রম চলে আসছে। দুটি টিনসেড ঘরের একটি কোন রকম ব্যবহার করা গেলেও অপরটি ব্যবহার অনুপোযোগী।পশ্চিম পার্শ্বের ঘরটি চালের টিন ভেঙ্গে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বৃষ্টি শুরু হলেই ঘরের ভিতরে পানি পড়ে মেঝেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে যায়।গতকাল দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ঘরের ভিতরে সেবা নিতে আসা লোকজন মেঝেতে জমে থাকা সেতসেতে কাদাপানির ভিতর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবা নিচ্ছে। এসময় এ প্রতিনিধি উপস্থিত হলে ওইসব সেবা নিতে আসা লোকজন একের পরে এক অভিযোগ তুলে ধরেন।তাদের অভিযোগ এদেশে সকল কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু এ অফিসের উন্নয়ন হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে থাকে ঘর।অথচ এদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।যে দপ্তরে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মেরুদন্ডের ন?্যায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যে দপ্তরের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অথচ সেই অফিসে এ দুর্দশা এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের অনেকেই বলেন একটু বৃষ্টি তেই ফুটো চাল দিয়ে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। জায়গাটি নিচু থাকার কারণে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বৃষ্টি শুরু হলে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা দুরহ হয়ে পড়ে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ফাইলপত্র ভিজে যায় যা সংরক্ষণ করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তারা জরুরী ভিত্তিতে সরিষাবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি বলে দাবি করেন। এসময় সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফ হোসেনকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তিনি মাদারগঞ্জে ডেপুটেশনে দায়িত্বে রয়েছেন বলে এক কর্মচারী জানান। তার সাথে মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।