বর্ষাকাল শুধু এই মেঘ-এই বৃষ্টি নিয়েই আসে না, সাথে করে নিয়ে আসে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, অসুখবিসুখ। জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা বর্ষাকালে স্বাভাবিক রোগবালাই। কিন্তু সাইনাসের সমস্যা একটু জটিল। বর্ষাকালে ঠাণ্ডা লেগে এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত সর্তকতা দরকার। সাইনাস থেকে বাঁচতে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
নাকের দুই পাশে এবং চোখের উপরে কপাল জুড়ে সাইনাস এলাকা বিস্তৃত। চিকিৎসার পরিভাষায় অসুখটিকে বলা হয় সাইনোসাইটিস। সাধারণত নাক থেকে এই সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়ে কপাল এবং তারপর মাথায়। যারা মাঝে মধ্যেই সাইনাসের সমস্যায় ভোগেন, তারা বর্ষাকালে কী ভাবে সাবধান হবেন, চলুন জেনে নিই-
১.ঠাণ্ডা লাগা এড়িয়ে চলুন। বৃষ্টি বিলাস করতে যাবেন না। যদি কখনো বৃষ্টিতে ভিজে যেতেই হয়, সাথে সাথে শুকনো তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মাথা ও শরীর মুছে নিন। ভেজা গায়ে এসি রুমে ঢুকবেন না। এমনকি পাখার নীচেও বসবেন না।
২.বর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য তো আর জীবন থেমে থাকে না। জীবিকার প্রয়োজনে বেরোতে হয়। তাই হঠাৎ বৃষ্টির দিনগুলোতে ছাতা বা রেইনকোট-এই জিনিস দু’টির যেকোনো একটি না রাখলেই নয়। বাড়ির বাইরে যেতে হলে ব্যাগে অবশ্য ছাতা, রেইনকোট রাখতে ভুলবেন না।
৩.বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে ছোট তোয়ালে বা গামছা রেখে দিন। বৃষ্টিতে মাথা ভিজে গেলে ফেলে রাখবেন না। রাস্তাতেই শুকনো করে মুছে নেবেন।
৪. রাস্তায় ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিন।
৫.ভিটমিন সি আছে, খাবারে এমন ফলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। লেবু জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে সেগুলো খেতে পারেন। অনেকে প্রতিদিন ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। এগুলো খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং লেবু জাতীয় ফলেই যথেষ্ট ভিটামিন সি অভাব পূরণে। আর সাইনাস যদি বেড়ে যায় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।