মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৩তম। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশ মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের মে মাস শেষে মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪তম।
অনলাইনে ইন্টারনেটের গতি দেখা যায়, এমন একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট স্পিডটেস্টের গ্লোবাল ইনডেক্সের তথ্যানুযায়ী, গত এক বছরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বেড়েছে ১ দশমিক ৮৪ এমবিপিএস। গত বছরের মে মাস শেষে মোবাইল ইন্টারনেটে গড়ে ১০ দশমিক ৬৯ এমবিপিএস গতিতে ডাউনলোড করা যেত। চলতি বছরের মে মাস শেষে তা বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। স্পিডটেস্টের তথ্য বলছে, গত এক বছরে মোবাইল ইন্টারনেটে ডেটা আপলোডের গতি বেড়েছে ১ দশমিক ২৪ এমবিপিএস। বর্তমানে ৭ দশমিক ৮৫ এমবিপিএস গতিতে ডেটা আপলোড করতে পারেন একজন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে একমাত্র আফগানিস্তানের ইন্টারনেটের গতি-ই ধীর। মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ নম্বরে। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল যথাক্রমে সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তানের। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া (১০৪), আফ্রিকার উগান্ডার (১২২) মতো দেশও মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে!
বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের ল্যাটেন্সি (মোবাইল ফোনের সংকেত ইন্টারনেট সার্ভারে পৌঁছানোর সময়) ৪৮ এমএস যা গত বছরের মে মাস শেষে ছিল ৪২ এমএস। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল যথাক্রমে সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তান।