গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এবার লক্ষ্য ছিল শিরোপা ধরে রাখা। সে মিশনটা শেষ ষোলোতেই শেষ হয়ে যাবে, তা হয়তো ভাবেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। কিন্তু সেটাই হলো। ইউরো ফুটবলে পর্তুগালের যাত্রার সমাপ্তি টানলো নক আউট পর্বেই। পর্তুগিজদের বিদায় করে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে বেলজিয়াম। সেভিয়ার লা কার্তুহায় রোববার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে বেলজিয়াম। বিদায় রোনালদোদের। অথচ ম্যাচে বলতে গেলে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। বল দখল শতকরা ৫৮ ভাগ। ২৩ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু জাল কাঁপাতে পারেনি একটি শটও। সেখানে বেলজিয়ামের ৬টি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটাতেই গোল। বেলজিয়াম যেখানে একটি কর্নারও পায়নি, সেখানে পর্তুগাল পেয়েছিল তিনটি।
প্রথম ৪০ মিনিটে যে কয়েকটি হাফ-চান্স তৈরি হয়েছে, তার সবগুলোই পর্তুগিজদের। ৪২ মিনিটে বেলজিয়ামের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ। সে আক্রমণেই লিড নেয় দলটি। তমা মুনিয়ের পাস ডি-বক্সের বেশ বাইরে পেয়ে একটুখানি আড়াআড়ি এগিয়ে বুলেট গতির শট নেন তোরগান হ্যাজার্ড, বল শেষ মুহূর্তে সামান্য বাঁক খেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। চোটের কারণে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠ ছেড়ে যান বেলজিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কেভিন ডে ব্রুইনে। শুরুর মতো এই অর্ধেও চাপ ধরে রাখে পর্তুগাল। ৫৮ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় তারা; কিন্তু রোনালদোর পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে উড়িয়ে মারেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড জটা। শেষের ১০ মিনিটে কয়েকটি ফাউলের ঘটনায় ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। পর্তুগালের এক ও বেলজিয়ামের দুজন হলুদ কার্ডও দেখেন। পরপর দুই মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় পর্তুগাল। তবে রুবেন দিয়াসের হেড গোলরক্ষক ফেরানোর পর রাফায়েল গেররোরর শট বাধা পায় পোস্টে। শেষটা তাই রোনালদোদের বিষাদের। নক আউট আউট পর্বে উঠার আনন্দে তখন বাধনহারা উল্লাসে ব্যস্ত বেলজিক শিবির। জার্মানির মিউনিখে আগামী শুক্রবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইতালির মুখোমুখি হবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়াম।