প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে যাদের আয় উপার্জনের পথ নাই তাদের জন্য কিছু নগদ আর্থিক সহায়তা আমরা ঈদের আগে দিতে চাই। অন্তত পক্ষে রোজার ঈদের সময় তারা যেন কিছু সহযোগিতা পায়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করব।
সোমবার সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অদৃশ্য এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই ভাইরাসের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের ঈদের আগে কিছু আর্থিক সহায়তা আমরা দিতে চাই। যাতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণের ব্যবস্থা যেমন করেছি বা সহযোগিতা করেছি, বেসরকারি খাতেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যরা অনেকেই সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে সুরক্ষা করতে এবং অন্যকে সুরক্ষা রাখতে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রমজান মাসে যেন কেনাকাটা করতে পারে এজন্য দোকানপাট খোলা ও চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় ছোট খাট শিল্প চালু রাখাসহ মানুষকে সুরক্ষিত রেখে অর্থনীতিকে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন বিভিন্ন ভাবে তাদের এই প্রণোদনা দেওয়া হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এবং গাইবান্ধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করছেন।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস, ত্রাণ বিতরণ ও বোরো ধানের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, মেডিকেল সার্জন, পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, নার্স, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এমআর/প্রিন্স