বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের আনারসের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা ধনবাড়ীতে ৬ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শেরপুরে কানাডা প্রবাসীর জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন কালিয়ায় ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি মেলা বাকাল মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান বদলগাছীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বাছাই কার্যক্রম নগরকান্দায় সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ গরমে স্বস্তি দিতে বাগেরহাটে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বন্দরে যত্রতত্র পার্কিং,জ্যামে নাকাল জনজীবন, মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা রায়গঞ্জে চার জয়িতার সাফল্য গাঁথা

আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পরীমনি ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনেছেন : নাসির

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার ‘মিথ্যা অভিযোগ’ তুলেছেন বলে দাবি করে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমার একটাই প্রশ্ন, তিনি (পরীমণি) ঘটনার পর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কেন থানায় গেলেন না বা মামলা করলেন না? কেন থানায় না গিয়ে উনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্পর্শকাতর চিঠি (ফেসবুক পোস্ট) লিখলেন? তার এক ঘণ্টার মধ্যে অনেক ক্যামেরা, সাংবাদিকদের জড়ো করলেন? চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কান্না করলেন। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। আমার দুর্ভাগ্য, পরবর্তী সময়ে আমাকে অ্যারেস্ট করা হলো। তিনি (পরীমণি) আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনেছেন।
গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রাজধানীর সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ নদীর তীরে ঢাকা বোট ক্লাবে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী পরীমণি। তারও পাঁচদিন আগে (৮ জুন রাতে) সেখানে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। পরের দিন (১৪ জুন) ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। পরীমণি যার সঙ্গে সেই বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন সেই তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকেও আসামি করেন সেই মামলায়। সেই মামলায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ স¤প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের করা আরেকটি মাদক মামলাতেও জামিন পেয়েছেন এই ব্যবসায়ী। সেদিন বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল- মুক্তির পর তার বর্ণনা দিয়েছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। পরীমণির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেছেন, শুধু বোট ক্লাব নয়, উত্তরা ক্লাব, ঢাকা ক্লাবসহ বাংলাদেশের নামীদামী ক্লাবগুলোতে এত স্টাফ থাকে, যেখানে এত মানুষজন থাকে; এত মানুষজনের মাঝখানে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটানোর সুযোগ নেই। কোন জংলির পক্ষেও বোট ক্লাবে কাউকে ধর্ষণ করার সুযোগ নেই। ফলে তিনি (পরীমণি) যে অভিযোগটি করেছেন এটি মিথ্যা।
তাহলে ওইদিন বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ক্লাবের এক মেম্বারকে উনি বকাবাদ্য করছিলেন। আমি দাঁড়িয়ে তাকে (পরীমণিকে) বলছি, প্লিজ বি কুল। এতে তিনি আমাকেও গালি দিয়েছেন। ওই সময় তিনি গ্লাস, প্লেট ছুঁড়ে ফেলেছেন। ২০ থেকে ২২ গ্লাস-প্লেট ভেঙে ফেলার পর আমি দাঁড়িয়ে তাকে শান্ত হতে বলেছি। এরপর তিনি আমাকে গ্লাস ছুঁড়ে মারেন একটার পর একটা। একটা গ্লাস এসে আমার ঘারে লাগে। এরপর আমি সিকিউরিটি ডাকলাম। অবশ্য ইনহাউজ সিকিউরিটি তখন চলে গেছে। তখন আমি বাইরের সিকিউরিটি ডাকলাম। সিকিউরিটি আসতে একটু দেরি হয়েছিল। জেমি (পরীমণির সঙ্গে আসা) নামে একটা ছেলে পেছন থেকে আমাকে জোরে আঘাত করে। তখন আমাদের ক্লাবের কয়েকজন মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। তারা তাকে আটক করে। এরপর সিকিউরিটি গার্ড এসে তাদের নিবৃত্ত করে। তখন আমি চলে যাই। আমি চলে যাওয়ার পর তাদের বোধহয় গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
পরীমণির হত্যা চেষ্টার অভিযোগ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমার সঙ্গে তার তো কোনও পরিচয় বা কোনও সম্পর্ক নেই। তাকে আমি কেন হত্যা করতে যাবো? তার সাথে আমার কোনও শত্রুতা নেই, মিত্রতাও নেই। তাকে আমি চিনিও না। তিনি (পরীমণি) নিজেও বলেছেন, তিনি আমাকে চেনেন না। তাহলে আমি তাকে কেন হত্যা করতে যাবো? আর সেখানে হত্যা চেষ্টার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। সেখানকার সাক্ষী হলো বোটক্লাবে ওই মুহূর্তে যত স্টাফ ছিল তারা সকলেই। ওই সময়ে স্টাফ ছাড়াও আমাদের মেম্বারও কয়েকজন ছিল।
নিজের পরিচয় তুলে ধরে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি কেমন তা অনেকেই জানেন। ছাত্রজীবনে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। ঢাকার প্রথম বিভাগের ফুটবলার ছিলাম। উত্তরা ক্লাবের তিনবার সভাপতি ছিলাম। আমি কোনও দিন হাজত দেখিনি। কিন্তু একটা মিথ্যা মামলায় সেটা দেখলাম। রিমান্ডে ১২ দিনসহ মোট ১৮ দিন জেল-হাজতে কাটিয়েছি। সত্যি কোনও অন্যায় করলে আফসোস ছিল না। আশা করি তদন্তকারী সংস্থা সঠিক বিষয়টি তুলে আনবে।
পরীমণির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই বিমানবন্দর থানায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়ের করে। পরে তাদের পরীমণির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় মুক্তি পান নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তার আগের দিন তিনি পুলিশের করা মাদক মামলাতেও জামিন পান। তারও একদিন আগে মঙ্গলবার একই আদালতে পরীমণির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তার জামিন মঞ্জুর হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com