জনাব, তৈয়ব জালাল পিতা মৃত জালাল আহমেদ, সাং আউলিয়াবাদ ০৮ নম্বর ওয়ার্ড, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন, ঈদগাঁও থানা, জেলা কক্সবাজার। তিনি গত ২৬.০২.২০২১ ইং তারিখ সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় অফিসে একটি আবেদন পত্র জমা দেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি খান রেজাউল ইসলাম রেজা গত ৩০.০২. ২০২১ ইং তারিখ আবেদনকারীর আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জনাব তৈয়ব জালাল এর এলাকা কক্সবাজার ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ এলাকায় গমন করি। এলাকার গন্যমান্য সম্মানিত বয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে কথা বলি। সত্যতা যাচাইকালে ইহাই প্রমানিত হয় যে, জনাব তৈয়ব জালালের পিতা জালাল আহমেদ ১৯৬৮ সালে কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন তার বাবা মৃত আহম্মদ হোসেন ভারুয়াখালীর স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন এবং জন্ম সূত্রে তারা বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন। পরবর্তিতে জনাব জালাল আহমেদ কক্সবাজার ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের নিজস্ব জমিতে বাড়ি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। এই সত্যতা শুধু এলাকার মানুষের কথা নয়, জনাব জালাল আহমেদ এর সকল জমির দলিল দস্তাবেজ থেকে পাওয়া যায়। জনাব জালাল আহমেদের জমির দলিল, সি এস, এস এ, আর এস, বিএস পর্চা সহ আমাদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং একসেট ফটোকপি আমরা সংগ্রহ করি। জালাল আহমেদের সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। তারা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এমন কি দেশের বাহিরেও কর্মরত আছেন। সকল বোর্ড পরিক্ষার সনদের ফটোকপির একসেট আমরা গ্রহন করি। জালাল আহমদের এক সন্তার মোঃ ওয়ায়েস ২০১২সালে ইন্টার ন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চিটাগং থেকে মাস্টার্সে ভাল ফলাফল করায় ২০১৮সালে ভাইস চেন্চলর স্বর্ন পদক অর্জন করেন। এছাড়াও জালাল আহমেদের পরিবার যে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি, তার সঠিক সত্যতা প্রমান করার জন্য স্থানীয় বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জনের মৌখিক জবানবন্দি নিই। তারা হলেন আব্দুল আলিম(৩৮) পিতা: (মৃত) খালু মিয়া নুরুল আবছার(৪০), পিতা: আব্দুসালাম শাহাজান(৫০), পিতা: ইসহাক নাজেম হোসাইন(৪৫), পিতা: খালু মিয়া সাং-আউলিয়াবাদ, ইসলামপুর, কক্সবাজার। শাহ আলম(৫৫), পিতা: (মৃত) আমির হোসেন সাং-আউলিয়াবাদ, ইসলামাবাদ, কক্সবাজার। লায়লা বেগম, নূর জাহান, ছবুরা খাতুন, আলতাজ আহমেদ, পিতা আজিজুর রহমান, আব্দুল হাই পিতা আব্দুস সাত্তার, আব্দুল করিম, জি এম রোস্তম কক্সবাজার পৌরসভা, মোঃ হোসেন, কলিম উল্লাহ ভারুয়াখালী, চৌকিদার আয়াজ ভারুয়াখালী, সিরাজ খলিফা ভারুয়াখালী, চৌকিদার ফরিদ ভারুয়াখালীসহ উপস্থিত সবাই জালাল আহমেদ সম্পর্কে বলেন-তারা জন্মের পর থেকে তাদেরকে চিনেন এবং তারা ভারুয়াখালী ও আউলিয়াবাদের স্থায়ী বাসিন্দা বলে মত প্রকাশ করেন। জালাল আহমেদ গত ২০১৯ সালের ৩০শে জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরন করেন। তাকে মৃত্যু নিবন্ধন স্বারক নম্বর-০০০২১২ তাং-১১.০৩.২০১৯ খ্রিঃ মৃত্যু সনদ প্রদান করেন ০৩ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নূর সিদ্দিক। এছাড়াও জালাল আহমেদ জীবিত থাকা অবস্থায় গত ০৬.০৫.২০১৮ ইং তারিখ নূর মোহাম্মদ আনছারি কর্তৃক জালাল আহমেদ গং দের বিরুদ্ধে জাতিয় পরিচয়পত্র বাতিলের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার কক্সবাজার কার্যালয় আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ১. স্মারক নম্বর ১৭.০০.০০০০.০৬৪.৫১.০১৪.১৬-৬৩ তারিখ ০৫.০২.২০১৮ খ্রিঃ এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম স্মারক নম্বর ১৭.০৩.০০০০.০০০.৫১.০০৬.১৭.৩৪ তারিখ ০৬.০২.২০১৮ খ্রিঃ উক্ত অভিযোগে সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃক ১.এন, এস, আই ২. ডি.জি.এফ. আই ৩. ডি.এস.বি কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করার জন্য স্মারক নং ১৭.০৩.২২০০.০০০.১৮.১৭.১৭-৭৯ তারিখ ১৯.০২.১৯১৮ খ্রিঃ এর মধ্যে প্রেরন করা হয়েছিল কিন্তু মাঠ পর্যায়ের তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ কারির অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই এবং জনাব জালাল আহমদের সকল নথী পত্র সঠিক এবং নির্ভুল প্রমানিত হওয়ায় নূর মোহাম্মদ আনছারির দেয়া অভিযোগটি নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়ে অভিযোগের যে রায় বা মতামত প্রকাশ করেন, সেখানেও বলা হয়েছে জনাব জালাল আহমদের পক্ষে শক্তিশালী বৈধ কাগজ পত্র, সকল প্রকার তথ্য, প্রমান ও স্বাক্ষী থাকায় ইহাই প্রমানিত হয় যে জালাল আহমেদ গং রা প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশি নাগরিক। আমিও স্পষ্ট ভাষায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বলতে চাই, মৃত জালাল আহমেদ এর সন্তার জনাব তৈয়ব জালাল গংরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক। কারণ স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব সায়মুম সরোয়ার কমল (এমপি) মহোদয়, কক্সবাজার মেয়র মুজিবুর রহমান মহোদয়সহ বর্তমান ও সাবেক সকল স্থানীয় প্রতিনিধিগণ জনাব তৈয়ব জালাল গংদের পক্ষে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন যে, তারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক। এমনকি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের জালাল আহমেদ তার পারিবারিক সদস্য বলেও মত দিয়েছিলেন। যে রায়ে স্বাক্ষী হিসেবে তার বড় ভাই জিএম কলিম উল্লাহ নিজে রয়েছেন। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তৈয়ব জালালের
পরিবারের সম্মান নষ্ট ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে শত্রুতা বশতঃ ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে না। তাই আমি প্রশাসনের সকল সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাবো, সত্যতা যাচাইপূর্বক সমাজের এ সকল অসৎ মানুষ যারা মানুষের সম্মান নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে ভাল মানুষদেরকে সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।