হৈমন্তী রক্ষিত দাস, মূলত আধুনিক ঘরানার একজন সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু ফোক গানেও যে তিনি অনন্য এটা নতুন করে আবারো প্রমাণ করছেন। গেলো বছরের শেষপ্রান্তে ইউটিউবে প্রকাশিত হয় হাছন রাজার লেখা ও সুর করা বিখ্যাত গান ‘নেশা লাগিলো রে’ গানটি। গানটিতে হৈমন্তীর অনবদ্য গাওয়া শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেছে। যার ফলে গানটি একটু একটু করে কোটির ঘরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গানটি ৯১ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। হৈমন্তী হাছন রাজার লেখা ও সুর করা এই গানটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। স্টেজ শোতে বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে গানটি গেয়েছেন। তবে আয়োজন করে কোনো ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এবারই প্রথম গাওয়া। হৈমন্তী রক্ষিত দাস বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় হাছন রাজার লেখা ও সুর করা অনেক গানই বিভিন্ন সময়ে স্টেজ শোতে পারফর্ম করেছি। কিন্তু এই গানটির প্রতি আমার ভালো লাগা, ভালোবাসা ছিল একেবারেই অন্যরকম। গানটি নতুন সঙ্গীতায়োজনে গাইতে পেরেছি, এটাই আমার অনেক ভালোলাগা। গানটি প্রকাশের পর থেকেই অনেক সাড়া পেয়েছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গানটি কোটির ঘর স্পর্শ করবে। এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয় হবে। ধন্যবাদ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’ এদিকে পল্লব স্যানালের সুরে ও কবির বকুলের কথায় কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে হৈমন্তীর মৌলিক গান ‘চাঁদের বাড়ি’। এই গানটি শ্রোতা দর্শকের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সাধারণত হৈমন্তী লতা মুঙ্গেশকর ও রুনা লায়লার গানগুলোই মঞ্চে ও টিভি শোতে বেশি পারফর্ম করে থাকেন। পাশাপাশি নিজের মৌলিক গান তো থাকেই। বাপ্পা মজুমদারের সুর সঙ্গীতে স্বপ্নীল ও শেখ রানার কথায় হৈমন্তীর কণ্ঠে ‘দেয়াল কাহিনী’ গানটির লিরিক্যাল ভিডিও শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করছে। এদিকে গেলো বছর রুনা লায়লার সুরে, কবির বকুলের কথায় ও রাজা ক্যাশেফের সঙ্গীতায়োজনে ‘আকাশে মেঘ দেখেছ’ গানটি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে প্রকাশিত হয়।