মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পৌনে চারশ’ বছরের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

বাসস :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুর। এই গ্রামে ১৬৫৭ সালে নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদটি এখনও অনেকটাই আগের মতো রয়েছে। পৌনে চারশ’ বছরেও এটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়নি। চুন সুরকির মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই সেখানে মানুষ ভিড় জমান। অনেকে এসে নামাজ পড়েন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫ দশমিক ৯৪ মিটার। মসজিদের উপরে তিনটি গম্ভুজ রয়েছে। গম্ভুজে পদ্মফুলের নকশা রয়েছে। মসজিদের সামনের দেয়ালে ফার্সি ভাষায় শিলালিপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে জনৈক হায়াতে আবদুল করিম মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। হায়াতে আবদুল করিমের পরিচয় নিয়ে দুইটি মত রয়েছে, একটি হচ্ছে তিনি নাটেশ্বর নামে এক রাজার কর্মকর্তা ছিলেন। আরেকটি মত, তিনি শাহ সৈয়দ বাগদাদী নামে একজন দরবেশের মুরিদ ছিলেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোতাহার হোসেন চৌধুরী বাসসকে বলেন, বড় শরীফপুরের এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসেন। এই মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মসজিদের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।
কুমিল্লাস্থ মনোহরগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাসসকে বলেন, জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মসজিদের একদিকে ডাকাতিয়া নদী, অন্যদিকে নরহ খাল। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ-হাসনাবাদ সড়ক। পেছনে রয়েছে বিশাল নাটেশ্বর দিঘি। একটু অদূরে মাজার শরীফ। এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বাসসকে বলেন, এটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মসজিদ। এটি বর্তমানে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় সংরক্ষিত। এখানে একটি প্রতœতত্ত্ব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com