সেই ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। সুযোগ যে একদম কম পেয়েছেন, এমন নয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ফরমেটে নিজেকে অপরিহার্য ক্রিকেটার বানাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ৩ টেস্ট খেলে বাদ পড়েছেন ২০১৯ সালে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতেও আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। একাদশে জায়গাটা পাকা নয়। এবার জিম্বাবুয়ে সফরে সীমিত ওভারের দলে আছেন। মোসাদ্দেক নিজেও উপলব্ধি করছেন, জায়গা পাকা করতে হলে ধারাবাহিক হতে হবে। দলে থিতু হওয়ার এটাই সঠিক সময় মনে করছেন অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডার।
মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমরা যারা একসাথে খেলা শুরু করেছিলাম তাদের জন্য পারফর্ম করা ও দলে থিতু হওয়ার এটাই সঠিক সময়। ধারাবাহিকতার ওপরে কিছু নেই। আমরা ধারাবাহিক হতে পারলে দলে জায়গাও পোক্ত হবে। এতে দলও উপকৃত হবে। পারফরম্যান্সের ওপর কিছুই নেই, অবশ্যই পারফরম্যান্সের দিকেই নজর দিচ্ছি।’
‘এ’ দলের হয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের অভিজ্ঞতা আছে। এবারের উইকেট দেখে ভিন্ন কিছু মনে হয়নি মোসাদ্দেকের। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে ‘এ’ দলের সাথে জিম্বাবুয়ে সফরে এসেছিলাম। প্রায় ছয় বছর আগের মতই উইকেট কন্ডিশন আছে। টেস্ট ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল। শুরুর এক ঘণ্টা ছাড়া বোলাররা খুব বেশি সহায়তা পাবে না। বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব ভালো উইকেট।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে দুই ম্যাচে একটিতে ফিফটি করেছিলেন। কিন্তু তার ফিফটি পাওয়া ম্যাচে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। মোসাদ্দেক সব অভিজ্ঞতাকে ঢেলে দিতে চান আসন্ন সিরিজে। মোসাদ্দেকের কথা, ‘নিউজিল্যান্ড সফরে চোট পাওয়ার পর তা সারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলি। শেষ ম্যাচে ভালো করলেও শেষ করে আসতে পারিনি। এখানে ভূমিকা থাকবে দায়িত্ব পেলে শেষ করা। ডিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, বড় দলে খেলেছি এটা অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়।’ ১৬ জুলাই থেকে হারারেতে শুরু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে ফেবারিট কে-বাংলাদেশ না জিম্বাবুয়ে? মোসাদ্দেক নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন।
কি কারণে এগিয়ে টাইগাররা, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন এই অলরাউন্ডার, ‘আমাদের দলে যে চারজন অভিজ্ঞ পারফর্মার আছেন আর সাথে তরুণরা আছে, আমাদের ওয়ানডে দল অন্যান্য দলের চেয়ে এদিক থেকে এগিয়ে আছি। অন্যান্য অনেক দলেই হয়তো এটা নেই। এদিক থেকে আমি মনে করি আমাদের অবস্থান খুব ভালো। আমাদের অপশন অনেক বেশি। বেশিরভাগ খেলোয়াড় বোলিং-ব্যাটিং দুইটাই করতে পারে। দলের জন্য যা খুবই ভালো দিক।’