বাদামের কথা বললে প্রথমে মাথায় আসে বিকেলবেলায় বাদাম খেতে খেতে তুমুল আড্ডায় মাতা। তবে আমাদের সবারেই একটি ভুল ধারণা আছে বাদাম নিয়ে আর সেটি হলো বাদাম খেলেই নাকি ওজন বাড়ে? আসলে এই ধারণা একেবারেই ভুল। পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার ক্ষেত্রে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আকারে বেশ ছোট হলেও বাদাম বিভিন্ন খনিজ এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এই করোনা মহামারিতে ইমিউনিটি বাড়াতে অনেকেই তাদের ডায়েটে রেখেছেন বিভিন্ন ধরণের বাদাম।
বাদামে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরও কত কী। যা নানাভাবে শরীরের কাজে লাগে। তাহলে চলুন জেনে নেই বাদাম খাওয়ার উপকারীতা শরীরের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। চর্বির পরিমাণ কম কাঠবাদামে। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন । হৃদ্রোগ যাদের আছে, তারা এ থেকে উপকার পাবেন। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক আছে কাজুবাদামে। এছাড়াও শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে কাজুবাদাম।
প্রচুর পরিমাণে চর্বি আছে পেস্তাবাদামে, আবার এটি শক্তিও জোগায়। এতে পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, জিংক ইত্যাদি আছে। এ ছাড়াও বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। হৃদরোগীদের জন্য উপকারী চীনাবাদাম,কারণ এতে আছে অনেক বেশি প্রোটিন। এছাড়াও এটি শরীরে রক্ত চলাচল সাহায্য করে। ওমেগা-৩ এবং ৬ বিদ্যমান আছে আখরোটে। তবে এতে কোলেস্টেরল নেই। চিনা বাদাম রক্তচাপ সঠিকভাবে বজায় রাখতে এবং পেশী শক্তিশালী করতে বেশ কার্যকরী। অনেক গবেষকদের মতে, কেউ যদি প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খাওয়া শুরু করে, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা শরীরকে তো তরতাজা করেই! সেই সঙ্গে দেহ থেকে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে বাদাম।