তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের ঘোষণার প্রতিবাদে স্পিকার ও দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আল-নাহদার প্রধান রশিদ গানুশি জনসাধারণকে পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এই আহ্বান জানান তিনি। এর আগে রোববার তিউনিসিয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী তিউনিসসহ দেশটির কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করার আদেশ দেন। কায়েস সাইদের এই আদেশকে তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আল-নাহদার প্রধান রশিদ গানুশি তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। গতকাল সোমবার পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে গেলে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রশিদ গানুশির গাড়ি আটকে দেয়। এই সময় তিনি সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আমি পার্লামেন্টের স্পিকার ও আমরা নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য।’ তিনি জানান, সামরিক বাহিনীকে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধের কাজে ব্যবহার করায় তিনি বিস্মিত। তিউনিসিয়ার জনগণ একনায়কতন্ত্রের যুগে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছে। গানুশি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জনগণের সাথে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরো জানান, পার্লামেন্টের অধিবেশন পরিকল্পনা মতোই চলবে। পার্লামেন্ট ও সংবিধানকে রক্ষার জন্য তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানান। অপরদিকে তিউনিসের হাবিব বুরগুইবা সড়কে সমর্থকদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। তিনি বলেন, ‘এটি কোনো অভ্যুত্থান নয়। আইনের ভিত্তিতে যা করা হয়েছে তা কি করে অভ্যুত্থান হয়? আমি বিপ্লবের মূলনীতি ও বিপ্লবের স্লোগান: কাজ, স্বাধীনতা, সম্মান ও দেশপ্রেমের প্রেরণা বহন করছি।’ সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর