কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন কালে রোববার বিকেলে বালিবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২টি ড্রেজার মেশিন সহ প্রায় ৫শত ফুট পাইপ ধ্বংস করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার জাফরগঞ্জ থেকে কোম্পানীগঞ্জ গোমতী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় গোমতী নদীর ২ পাড়ে বেশ কিছু অবৈধ ড্রেজার মেশিন বালু উত্তোলনে চালু রয়েছে। তারই সাথে দেবিদ্বার উপজেলার বালিবাড়ি গ্রামের জয়নাল মাষ্টারে ছেলে মাহাবুব গোমতী নদী থেকে দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এসব কার্যক্রমে একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় অবৈধভাবে নদীর বালি উত্তোলন, মাটি কাটা, ট্রাক্টরে বহন সহ নানাভাবে গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ ধংস, রাস্তা খানাখন্দ করলেও স্থানীয়রা কিছু ভয়ে কিছু করতে পারেনি। এমন সংবাদে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ২টি ড্রেজার মেশিন সহ প্রায় ৫শত ফুট পাইপ ধ্বংস করে দিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ,এস,আই) আজিজুল হক ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, বালুমহাল ইজারা প্রদান ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ মাটি উত্তোলন, মাটির শ্রেণী পরিবর্তন বা নদী গর্ভস্তের মাটি বা বালি উত্তোলন কিংবা নদীর গতিপথ পরিবর্তনে কোন কাজ করা যাবেনা, তাছাড়া প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে মাটি কাটার কারনে কোন ফসলী জমি নষ্ট করা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, পৌর এলাকার বালিবাড়িতে ড্রেজার মেশিন জব্ধ ও ধ্বংসের অভিযান ধারাবাহিক অভিযানের একটি অংশ। সম্প্রতি প্রায় ৫০টিরও অধিক ড্রেজার মেশিন বন্ধ ও বিকল করেছি। কোথাও কোথাও একটি মেসিন ৩ বারও বন্ধ করেছি। তারপরও লোভী মাটি ও বালু খেকুরা ওই একইস্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালু করছে। আমাদের অভিযান অব্যাত আছে এবং থাকবে।