শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধ দিবস পালিত মাধবদীতে জ্যান্ত কই মাছ গলায় ঢুকে কৃষকের মৃত্যু বদলগাছীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী কালীগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা লতিফ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন হাতিয়ায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার ক্যাম্পাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত স্মৃতি কর্ণার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে ছাত্রলীগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

টিকা পেতে ২০ দিনে ৫১ লাখ নিবন্ধন

করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর রোগীরা ভাইরাসে কতোটা ভুগছেন। কি সমস্যা হচ্ছে এসব বিষয়ে এখনো কোনো গবেষণা তথ্য পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশদ গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া মানুষদের অধিক সংক্রমণ ছড়ানো এলাকাগুলোতে ঘরের ভেতর মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। মঙ্গলবার সিডিসির এই পরামর্শ এমন সময় এলো যখন দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং টিকাদানের হ্রাস পাচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে এখবর জানিয়েছে। সিডিসি’র পরিচালক ড. রশেল ওয়ালেনস্কি জানান, নতুন তথ্যে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণের ৮০ শতাংশই করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এটি করোনার মূল ভ্যারিয়েন্টে অনেক ভিন্ন এবং টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরও আক্রান্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও অন্যান্য দেশের তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বিরল ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের পর তারাও ছোঁয়াচে এবং অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারেন। এই নতুন তথ্য উদ্বেগজনক। দুর্ভাগ্যবশত এতে আমাদের সুপারিশমালা হালনাগাদ করতে হয়েছে। ওয়ালেনস্কি টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, তথাকথিত ‘ব্রেকত্রু’ সংক্রমণ খুবই বিরল এবং এতে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয় না। তিনি আরও জানান, নতুন নির্দেশনা স্কুলগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। টিকা নেওয়া হোক বা না হোক কে-১২ স্কুলগুলো ভবনের ভেতরে শিক্ষক, কর্মী, শিক্ষার্থী ও ভ্রমণকারীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি। এদিন এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বেড়ে যাওয়াতে সিডিসি বাধ্য হয়েছে নতুন পরামর্শ জারি করতে। মার্কিন সংস্থাটি মে মাসে ঘোষণা করেছিল, টিকা নেওয়া মানুষকে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই।
একটি অন লাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে,জুবায়ের আহমেদ পেশায় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। বয়সের কোটায় টিকা নেওয়ার সৌভাগ্য হলেও রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় এতদিন তা নিতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন টিকার জন্য। গত ৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও শুরু হয় টিকার নিবন্ধন। তখনই নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তিনি এবং তার দুই দিন পর টিকা নেন। শুধু জুবায়ের নয়, করোনার টিকা নিতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। দেশে করোনার চলমান ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ এবং মৃত্যুর কারণে তাদের টিকার প্রতি আস্থা বেড়েছে অনেকটাই। সেকারণেই নিবন্ধন চালু হওয়ার পর গত ২০ দিনে ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ১০৩ জন নিবন্ধন করেছেন। আর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৭ জন। তার আগে গত ২ জুলাই থেকে শুরু হয় বিদেশগামী কর্মীদের টিকার জন্য নিবন্ধন। ৩ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিদেশগামী নিবন্ধিত হয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ মে’র পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় টিকার নিবন্ধন। সেই সময় ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জনেই থেমে থাকে নিবন্ধন। ৩ জুলাই থেকে নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেদিন পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩৫ জন। অর্থাৎ, একদিনে নিবন্ধন করেন ২৮ হাজার ৯০৬ জন। সবার জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত হয় গত ৭ জুলাই।
ওই দিন স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনার টিকা প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যদিও পরে বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন ৩৫ বছরের ব্যক্তিরাও নিবন্ধন করতে পারছেন। এখন থেকে ৩৫ বা তার বেশি বয়সী সবাই করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যারা আগে নিবন্ধন করবেন তাদেরকে আগে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩ জুলাই থেকে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে মূলত বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধনের কারণে। তখনও সবার জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়নি। বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন পাসপোর্টের মাধ্যমে শুরু হয় ৫ জুলাই থেকে। ৭ জুলাই থেকে নিবন্ধন উন্মুক্ত করার পর এক ধাক্কায় ৬ লাখ ২৪ হাজার ৬২৮ জন মানুষ নিবন্ধন করেন। গত ২০ দিনের হিসাবে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ নিবন্ধন করছেন। এদিকে গত ১৯ জুলাই থেকে টিকা নেওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স কমিয়ে করা হয় ৩০ বছর। বয়স কমিয়ে আনার পর এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ২০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৫ জন। আর গত ১৫ জুলাই টিকা নিবন্ধনকারীর সংখ্যা মোট ১ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে। টিকার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হয় এনআইডি নম্বর কিংবা বিদেশগামী কর্মী বা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট। তবে এনআইডি যাদের নেই, তাদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিয়ে ভাবছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৫০ এর বেশি যাদের বয়স, সেসব রোগী হাসপাতালে বেশি এবং তারা টিকাও নেননি। এই বয়সীরা অগ্রাধিকার পাবেন টিকার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই, তাদেরও কীভাবে টিকার আওতায় আনা যায়, সেটা আমরা ভেবে দেখছি।’
দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে: করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর রোগীরা ভাইরাসে কতোটা ভুগছেন। কি সমস্যা হচ্ছে এসব বিষয়ে এখনো কোনো গবেষণা তথ্য পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশদ গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত স্বজনকে বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা -নিজস্ব ছবিদেড় বছর ধরে এক অদৃশ্য শত্রু দুনিয়াকে কাবু করে রেখেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে প্রায় ৪২ লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশেও এ পর্যন্ত ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছেন। সারা দুনিয়ায় শনাক্তও হয়েছে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ। এর থেকে মুক্তির জন্য গবেষকরা রাত-দিন গবেষণা করে তৈরি করেছেন নানা ভ্যাকসিন। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষ প্রতিদিন নিচ্ছেন টিকা। উন্নত পৃথিবী এর কিছুটা সুুফলও পেয়েছে। বাংলাদেশেও টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
তবে দুই ডোজ টিকা নিয়েও এই অদৃশ্য শত্রু থেকে রক্ষা মিলছে না অনেকের। গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরও করোনা টিকার দুই ডোজই নিয়েছিলেন। করোনায় মারা গেছেন এই কণ্ঠযোদ্ধা। করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হয়ে ষাট বছর বয়সী আনোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরও কেন সংক্রমণ এবং মৃত্যু তা বের করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, প্রথমে দেখতে হবে উনি দুই ডোজ টিকা কোন কোম্পানির নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেয়ার পর অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার শরীরে কি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা জানা হয়েছে কিনা। ভ্যাকসিন কার্যকর হলো কিনা। তিনি বলেন, যিনি মারা গেছেন তার শরীরে হয়তো অ্যান্টিবডি গ্রো হয়নি। এ ছাড়াও তিনি আগে থেকে কোনো জটিল রোগে ভুগছিলেন কিনা। এগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা প্রয়োজন। এজন্য ভালো পরিকল্পনা দরকার। খ্যাতিমান এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, দেশে গবেষণার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই আমাদেরকে এই দিকে গভীর নজর দিতে হবে। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট টিকা কোম্পানিগুলো তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করে থাকে। তাতে লেখা থাকে টিকা নেয়ার পর সংক্রমণ হবে না এমন বলা যাবে না।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং সংস্থাটির উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত করে বের করা উচিত। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। টিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা। যিনি মারা গেছেন তার শরীরে আগ থেকে কোনো জটিল রোগ ছিল কিনা। তিনি আরও জানান, টিকা নেয়ার পর প্রতি ১০ লাখে ১ জন মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ ছাড়া অন্যদেশের এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে মিল আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে এই জনস্বাস্থ্যবিদ মনে করেন।
এদিকে, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর করোনা টিকার দুই ডোজই নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই জ্বর ও খুসখুসে কাশি শুরু হয়। পরে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে করোনা পরীক্ষা করান। ফল পজেটিভ আসে। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রথমে তাকে গ্রীন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। করোনার টিকা নিয়েছিলেন ষাট বছর বয়সী আনোয়ারা বেগম। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, টিকা দিয়ে রক্ষা করা গেল না আনোয়ারাকে। গত রমজান মাসে মহাখালী সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছিলেন তিনি। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাদের সন্তান আমিনুল ইসলাম বাবু। তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন। আনোয়ারা দীর্ঘদিন থেকে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। একপর্যায়ে দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায় তার। তিনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতেন শান্তিনগরের একটি প্রতিষ্ঠানে। এরমধ্যেই গত ১৯শে জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন আনোয়ারা। মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। একপর্যায়ে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো আনোয়ারাকে। এরমধ্যেই শনিবার ভোরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তার। একপর্যায়ে বাসাতেই মারা যান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com