আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের কিছু তথাকথিত সেলিব্রেটি সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। বিতর্কিত কর্মকা- দিয়ে তরুণ সমাজ ও জাতিকে তারা বিভ্রান্ত করছে। তাদের মুখোশ উন্মোচনে কঠোর অভিযান চলছে। অপসংস্কৃতি রোধে এ অভিযান চলমান থাকবে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি আবাহনী ক্লাব মাঠে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব ও অসহাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যুবসমাজের অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ও চেতনাকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। শেখ কামাল ছিলেন অনন্য ক্রীড়া সংগঠক, যিনি খেলাধুলায় নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন খেলায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছতে পারত।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত সৃজনশীল ও সংস্কৃতি অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পন্দন’ গঠন করেছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দেশপ্রেমিক। তিনি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তার আদর্শ ও চেতনা ধারণের জন্য দেশের তরুণ যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।’ ‘তার আদর্শে তরুণদের খেলাধুলায়, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে হবে। এটি করতে পারলে অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতি রোধ করে দেশের তরুণসমাজকে আদর্শবান করে গড়ে তোলা যাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভুঁইফোড় সংগঠনের কোনো জায়গা আওয়ামী লীগে নেই’ উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ন্যায় ও সততার পথে থেকে দল করতে হবে। এটিই আওয়ামী লীগের ভিত্তি। যে দল একটি দেশ গঠন করেছে, সারা পৃথিবীর বুকে একটি নতুন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দলে ভুঁইফোড় সংগঠনের কোনো জায়গা নেই।’ আবাহনী সমর্থকগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় আবাহনী সমর্থকগোষ্ঠীর সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান, উপদেষ্টা কাজী আব্দুল হাকিম, বরকত-ই-খুদা, মির্জা ফজলুল হক, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।