শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন

দৈনিক খবরপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর টিন, টাকা, খাদ্য, রিকশা ও ঘর পেলো পঙ্গু মজিদ

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

“একটি দুঘটনা সারাজীবনের কান্না, সব হারিয়ে পঙ্গু মজিদ এখন দিশেহারা ” শিরোনামে গত মঙ্গলবার ‘দৈনিক খবরপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশিত হলে চোখে পড়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে হাকিমপুর উপজেলায় অসহায় পঙ্গু আব্দুল মজিদকে ডেকে আনেন তাঁরা। এসময় মজিদকে উপজেলার পক্ষ থেকে তার কুড়ে ঘরটি মেরামতের জন্য তিন হাজার টাকা এক ব্রান্ড টিন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য এবং একটি চার্জার রিকশা ও সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। হাকিমপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ধন্যবাদ জানায় দৈনিক খবরপত্র পত্রিকাকে। এধরনের অসহায় মানুষদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করায় অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আমি প্রায় দৈনিক খবরপত্রে দেশের মানুষের অসহায়ত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরে। আজকে এই অসহায় আব্দুল মজিদ তার একটি দৃষ্টান্ত। শুভকামনা রইল দৈনিক খবরপত্র ও তার হিলি প্রতিনিধির প্রতি। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, গত মঙ্গলবার “একটি দ্র্ঘুটনা, সারাজীবনের কান্না, সব হারিয়ে পঙ্গু মজিদ এখন দিশেহারা” শিরোনামে সংবাদটি দৈনিক খবরপত্র পত্রিকায় দেখতে পাই। সংবাদটি দেখে আজ এই অসহায় পঙ্গু আব্দুল মজিদকে উপজেলায় তার পরিবারসহ ডেকে আনি এবং তার আপাতত কুড়ে ঘরটি মেরামতের জন্য তিন হাজর টাকা সহ এক ব্রান্ড টিন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী তার হাতে তুলে দেয়। তিনি আরও বলেন, মজিদের নিজেস্ব কোন জায়গা বা ঘর নেই, সে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে। তাই তার জন্য একটি সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো এবং মজিদের সংসার চালানোর জন্য একটি দোকান বা চার্জার রিকশা দেওয়া হবে। হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আব্দুল মজিদ একজন অসহায় পঙ্গু মানুষ। আমরা সবাই তার পাশে দাঁড়িয়েছি। উপজেলার পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে। টাকা, টিন, সরকারি ঘর, রিকশা আর প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আব্দুল মজিদ বলেন, দৈনিক খবরপত্র পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানানোর মতো ভাষা আমার জানা নেই। আমি সব হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় ভাবে পরে ছিলাম, কেউ আমার খোঁজ-খবর নিতো না। কারও কাছে গেলে কেউ মুল্যায়ন করতো না। এই পত্রিকাতে আমাকে নিয়ে নিউজ করায়, আজ আমি অনেক সাহায্য সহযোগীতা পাচ্ছি এবং সবাই আমাকে ভালবাসছেন। আমি দৈনিক খবরপত্রের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com