করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশকে আরও ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা (৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এই ঋণ দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) তৃতীয় ধাপে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির প্রধান কার্যালয় থেকে এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
এডিবি বলছে, এ ঋণের সুবিধা পাবে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এখন প্রায় ১৫ লাখ পোশাককর্মীকে বেতন প্রদান এবং করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানী দেয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় থাকা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানও অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। দেশের ২০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে প্রায় ২ হাজার টাকা (২৩ মার্কিন ডলার) এবং প্রায় ১০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে ২০ কেজি করে খাবার সহযোগিতা দিতে পারবে সরকার। সেই সঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও স্বল্প সুদে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এই ঋণ ভূমিকা রাখবে। দরিদ্র ও খুবই অরক্ষিত বিশেষ করে যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ছিলেন ও করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের সবার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করব।’
এর আগে গত ২৮ মার্চ করোনা মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (৩ লাখ মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দেয় এডিবি। দ্বিতীয় দফায় ৩০ এপ্রিল প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা (১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দেয়।
করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এডিবি ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকেও ঋণ নিচ্ছে সরকার।
এমআর/প্রিন্স