রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

অধ্যক্ষকে শ্রেণিক্ষকেই ৬ টুকরো করে সহকর্মীরা: র‌্যাব

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

সাভারের আশুলিয়ায় স্কুলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৬) শ্রেণিকক্ষে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে দুই সহকর্মী। পরে পাঁচ টুকরো কলেজের আঙিনায় পুতে রাখে। এর মধ্যে মাথার অংশ আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয় তারা। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙিনা থেকে লাশের পাঁচটি টুকরো উদ্ধার করে র‌্যাব। মাথা উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আটকরা হলেন—মোতালেব, রবিউল ও তার ভাগিনা বাদশা।

র‌্যাব জানায়, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে কোচিং করানো হতো। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের কোচিংয়ে শিক্ষার্থী ছিল বেশি। এ নিয়ে অন্য সহকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এছাড়া মালিকানা নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
র‌্যাব আরও জানায়, গত ৭ জুলাই শ্রেণিকক্ষে বসে মিন্টুকে হত্যার পরিকল্পনা করে অন্য সহকর্মীরা। ১৩ জুলাই কোচিং শেষ হওয়ার পর রাত ১১টার দিকে তাকে ১০৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে তারা। এর মধ্যে মাথার অংশটি আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। বাকি অংশগুলো ওই স্কুলের আঙিনায় পুতে রাখে। এরপর জায়গাটি সিমেন্ট-বালু দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। এদিকে খোঁজ না পেয়ে গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মিন্টুর ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। এরপর থেকেই থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। পরে তার সহকর্মীসহ তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ স্কুলের আঙিনায় পুতে রাখা লাশের পাঁচটি টুকরো উদ্ধার করে র‌্যাব।
র‌্যাব -৪ এর কমান্ডার রাকিব মাহামুদ খান বলেন, ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় নিহত শিক্ষকের সহকর্মীরা। এর মধ্যে রবিউল তার লোকেশন বার বার পরিবর্তন করছিল। পরে রবিবার রাতে আব্দুল্লাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা করে আটকদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com