শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি
আজ বুধবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সবকিছু খুলছে। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া বিধিনিষেধ শিথিলকালে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে। বিধিনিষেধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিনোদনকেন্দ্র ও জনসমাগম হয় এমন ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয়া হয়নি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) এটা নিয়ে আলোচনা করছে কীভাবে কী করা যায়। আগে তারা ভ্যাকসিনেশন জোরদার করছে। যাতে ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়া যায়। তারপর দেখা যাক। এ বিষয়ে পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্রিফ করবে। এর আগে গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগামীকাল বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। সড়কপথে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক গাড়ি চলতে পারবে। খুলবে দোকান-শপিং মল এবং খাবারের দোকান। হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে চলবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। তবে আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সে সময় ২৩টি শর্ত দেয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এনে বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করার পর সড়কপথে অর্ধেক বাসে আসনের সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে চলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সেই অর্ধেক সংখ্যা কীভাবে নির্ধারিত হবে ও সমপরিমাণ যাত্রী কেন, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, অর্ধেক বাস চলার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন বাস মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে।
অর্ধেক বাস চলবে, এর যুক্তি কী এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে সাজেশন দেয়া হয়েছে। তারা জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি বা পরিবহন-সংক্রান্ত মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে, অর্ধেক বাস একদিন চলবে, পরদিন বাকিগুলো।
অফিস-আদালত খোলার পর বাসের সংখ্যা কম হলে তো চাপ বাড়বেÍএ নিয়ে তিনি বলেন, এটা মেইনলি আন্তঃজেলা বাসের জন্য বলেছে। বাইরে থেকে তো কম লোক আসে। তবে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এটা তদারক কীভাবে করবেন এ নিয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বসে ঠিক করা হবে। তারা একটা পদ্ধতি বের করবেন। বেইজিংয়ে দেখেছি একদিন এ নম্বর আসে, আরেক দিন আরেক নম্বর। সিটি সার্ভিসের বিষয়ে কী হবে এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটাও মেট্রোপলিটন পুলিশ, মালিক সমিতি, বিআরটিএ বসে সিদ্ধান্ত দেবে।