শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

ধনবাড়ীতে সংযোগ সড়ক না থাকায় স্বপ্নের সেতুতে উঠতে হয় মই দিয়ে

জহিরুল ইসলাম মিলন টাঙ্গাইল (ধনবাড়ী) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের বুকচিরে যাওয়া বংশাই নদের ওপর এক সারি পিলারে দাঁড়িয়ে আছে অভূতপূর্ব একটি সরু সেতু। ইউনিয়নের ধোপাখালী বাজারকে কেন্দ্র করে ধোপাখালী ও ইসলামপুর গ্রামের মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে বাধার কথা এ সেতু। এ সেতু পার হতে গেলে আপনাকে কাঠের মই বেয়ে উঠতে হবে। কিন্তু আশ্চর্য কাঠামোর এ সেতু দুই পারের মানুষকে বংশাই পারাপারে বিড়ম্বনা আর দুর্ভোগে ফেলছে। নির্মাণের পরপরই সংযোগ তৈরির কথা থাকলেও দীর্ঘ দিনেও তৈরি হয়নি। ফলে সংযোগ সড়কবিহীন এ সেতু কোনো কাজে আসছে না। সংশ্লিষ্টরা ব্যবহার অনুপযোগী করে নির্মাণের দায়িত্ব সেরেই সরে গেছে। তবে উপায়হীন স্থানীয় জনগণ কাঠের মই বানিয়ে দুইপাশে বসিয়ে পারাপারের কোনো রকম কাজ সারছেন। অনেকটা কাঠের মই বেয়ে কংক্রিটের সরু মইয়ে যেন বংশাই পার হওয়া। সেতুটি পারাপার হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আশপাশের হাজারো জনগণের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ধোপাখালী বাজার সংলগ্ন বংশাই নদের উপর গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে ৫ লাখ টাকায় সেতুটি নির্মাণ হয়। ধনবাড়ীর বিশেষ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করে। তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বগুড়ার একটি প্রকল্পের ডিজাইন অনুকরণে পায়ে হাটা একসারি খুঁটিতে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটির দুই পাশে ব্যক্তি মালিকানার জমি থাকায় সংযোগ ব্যবস্থা ইউপি চেয়ারম্যানের করে দেয়ার কথা ছিল। এখনও না হওয়ার কোনো কারণ থাকার কথা নয়। নির্মাণের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটির উভয়পার্শ্বে রাস্তার সঙ্গে সংযোগ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়নি। স্থানীয়রা নির্মাণের পর থেকেই সেতুটির দুই মাথায় কাঠের মইয়ের মতো করে সংযোগ বানিয়ে এর ওপর দিয়ে পারাপার হন। ভেঙ্গে বা নষ্ট হলে আবার কাঠ সংগ্রহ করে নিজেদের অর্থায়নে ঠিক করে নেন। এমন তথ্য দিলেন ইসলামপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিন। তার ভাষ্যমতে, সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি পারাপারে পূর্বপারের ইসলামপুর-কৃষ্টপুর এবং পশ্চিম পারের ধোপাখালী, কদমতলী, উদয়পুর, কুমারগাতাসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ নিত্যদিনের। জনৈক ব্যবসায়ী শরাফত হোসেন বলেন, সেতুটির রাস্তার সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা না থাকায় পারাপারে প্রতিদিন স্থানীয় হাজারো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া শনিবার, বুধবার সাপ্তাহিক হাটে সাইকেল, মোটরসাইকেল ও মালবাহী ভ্যানরিকশা দিয়ে হাটে কোনো মালামাল আনা নেয়া এর ওপর দিয়ে করা যায় না। তবুও ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি পারাপারে অনেকে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হন। স্থানীয় বিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক বলেন, এই সেতুটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি দিয়ে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন বলেন, সংযোগ রাস্তা করা হয়েছিল বালু দিয়ে। বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। এডিপির বরাদ্দে পেলাসেটিং এ সংযোগ রাস্তা করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রীকে (স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী) বলে জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় দ্রুত বরাদ্দের ব্যবস্থা হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগরও সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করেন। তিনি জানান, বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া দ্রুতই করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com