গাইবান্ধার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর নামে সরকারের ১৪৫ কোটি টাকা অপচয় ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিশাল মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ গাইবান্ধাবাসী। সোমবার (৩০আগস্ট) সকালে বালসীঘাটে রাষ্ট্রের এই বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাটের সাথে জড়িত বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ গাইবান্ধাবাসী গাইবান্ধা- বালাসীঘাট সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে নাগরিক মঞ্চের সিনিয়র সদস্য ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি- মিহির ঘোষ, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্যা, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন জাতীয় পরিষদের সদস্য রানু সরকার সহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু সম্প্রতি বিআইডাব্লিউটিএ’র এক প্রতিবেদনে এই পথে আর ফেরি চালু করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এই ফেরি রুটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, এর জন্য দায়ী কে, কার বা কাদের স্বার্থে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল? অবিলম্বে বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও দুর্নীতির উৎস খুঁজে বের করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।