বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বরিশাল বিভাগে মাল্টা ফলের আবাদ বাড়ছে

বাসস :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

বরিশাল বিভাগে বিপুল সম্ভাবনাময় রসালো ফল মাল্টা’র আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীর বেশ কিছু এলাকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ ফলের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। পারিবারিক পর্যায়ের বাইরে এখন বাণিজ্যিক ভাবেও বিভিন্ন স্থানে মাল্টা’র আবাদ হচ্ছে। তবে এ অঞ্চলে ভাল জাত ও মানের মাল্টা’র কলম বা চারা সরবরাহ এখনো সহজলভ্য নয়। অথচ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ‘বারি মাল্টা-১’ ও ‘বারি মাল্টা-২’ নামের দুটি উন্নতমানের মাল্টা’র জাত উদ্ভাবন করেছে। এ বিষয়ে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ৩ হাজার হেক্টরে মালটার আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমেই বাণিজ্যিকভাবে এর বিপননও শুরু হয়েছে। বরিশালের মাল্টা এ এলাকা ছাড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানেও বাজারজাত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদদের মতে ভাল জাতের ও মানের গাছের চারা এবং কলমের সরবারহ নিশ্চিত করতে পারলে বরিশাল বিভাগে খুব দ্রুত এ ফলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে টেকসই বাজার গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বরিশাল সদরের কয়েকটি এলাকা ছাড়াও উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ, নাজিরপুর সহ ঝালকাঠির সদর উপজেলার বিপুল সংখ্যক গ্রামে মাল্টা’র আবাদ হয়েছে। তবে এ ফলের ভাল মানের কলম কিছুটা দুস্প্রাপ্য হওয়ায় কোন-কোন এলাকায় এর উৎপাদন মানসম্মত হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সফল কৃষক গুরুদাস ব্যানার্জী জানান, বরিশালে কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের রহমতপুর হর্টিকালচার নার্সারি ভালজাত ও মানের চারা উত্তোলন ও বিক্রি করলেও প্রচারণার অভাবে তা বেশীরভাগ কৃষকেরই অজানা। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষ হবার আগেই ঐ নার্সারিতে মাল্টা’র চারা বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ভাল মানের চারা রোপন করলে বছরের মাথায় গাছে ফল আসবে। সঠিক বালাই ও সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিটি গাছে বছরে প্রায় দুই শতাধিক মাল্টা ধরবে গাছে।
বরিশালের বাজারে এখন দেশী মাল্টা সর্বনি¤œ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কৃষক পর্যায়ে পাইকাররা ৬০-৬৫ টাকা দরে কিনছেন। কৃষিবিদদের মতে সঠিক পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে মৌসুমে ৪০ কেজি পর্যন্ত মাল্টা পাওয়া সম্ভব। এতে করে জমি তৈরী, চারা সংগ্রহ এবং সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা সহ পরিচর্যার ব্যয় প্রথম ফলন থেকেই তুলে আনা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাওফিকুল আলম বলেন, এ ফলের আবাদ স¤প্রসারণে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক পর্যায়ে এর অবাদ প্রযুক্তিসহ উন্নতমানের চারা পৌছে দিতে। আমরা চলতি বর্ষা মৌসুমে বিপুল সংখ্যক ‘বারি-১ মাল্টা’র চারা সরবরাহ করেছি। আগামীতে তা আরো বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। তার মতে মাল্টা’র আবাদে বর্তমানের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ ফল আমদানীর প্রয়োজন হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com