ভাদ্রের তৃতীয় সপ্তাহ চলছে, এই সময়ে মাঠে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি চাষে দারুন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মাঠে-মাঠে এখন শীতকালীন নানা ধরনের শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, ছিমসহ নানা সবজি দৃশ্যমান। আগাম শীতকালীন শাক সবজি চাষ করে কৃষক লাভবান হয়ে থাকে। পরে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে গেলে তখন পানি দরে বিক্রি করতে হয় কৃষকদের। এ কারণে বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, সদর গাবতলী উপজেলার কৃষকেরা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্তসময় পার করছেন।
এ বছর জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক মো. দুলাল হোসেন জানান, নির্ধারিত ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সম্ভব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২লাখ ১৬ হাজার টন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমির মাটিতে প্রচুর রস আছে। যা শাক-সবজি উৎপাদনে সহায়ক। এরমধ্যে জেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হবে বলে জানান জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়াও বেগুন চাষের দাড়িগাছা, মরিচ চাষে গোহাইল আগাম টমেটো চাষ শুরু করেছে কৃষক। কৃষক মাচা তৈরি করে টমেটো চাষ করছে। লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাকের জন্য জমি প্রস্তুত করছে কৃষক।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বগুড়ার কৃষকরা প্রথমে আগাম ফুল ও বাঁধাকপি চাষ করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় পুনরায় শীতের ভরা মৌসুমে কপি চাষ করে। ইতমধ্যে কিছু ফুলকপি বাজারে উঠেছে। অনেক কৃষক শীতের আগাম সবজির চারা তৈরিও করছে।
শাজাহানপুরের দাঁড়িগাছা এলাকার বেগুন চাষি মতিউর রহমান জানান, “এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করছি। বৃষ্টিতে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও, এখন বেগুন গাছগুলো স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী মাসে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।” জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শাক-সবজি উৎপাদন হবে। কারন মাটিতে প্রচুর পরিমাণ রস আছে। সবজি ক্ষেতে সেচ দিতে হবেনা।