একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যরচয়িতা ও নির্মাতা আবুল হায়াতের জন্মদিন ছিল গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর। তিনি ৭৭ পেরিয়ে ৭৮ এ পা রাখছেন। করোনার এই মহামারীর মধ্যে জন্মদিন নিয়ে কোনই বিশেষ পরিকল্পনা নেই তার। আবুল হায়াত বলেন,‘দেশে বিপাশা নেই, নেই তার পরিবারেরও কেউ। শুধু নাতাশা আছে। তার মেয়েরও জন্মদিন আজ। হয়তো নিজেরা নিজেরাই ঘরোয়াভাবে জন্মদিনটা উদযাপন করবো। তবে সত্যি বলতে কী অনেকদিন বাঁচার স্বপ্ন দেখি। আর বাঁচলে ইনশাআল্লাহ বাঁচার মতোই বাঁচতে হবে, সুস্থভাবে আল্লাহ যনে বাঁচিয়ে রাখেন। সবার দোয়া চাই। কারণ পোস্ট কোভিডে সুস্থ থাকাটাই জরুরী।’
তিনি জানান, করোনার দু’ই ডোজেরই টিকা নিয়েছেন। গেলো ঈদে তিনি রুবেল হাসান পরিচালিত ‘নানা বাড়ি’ নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘মেঘ ময়ূরীর গল্প’ নামের একটি নাটক।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সীমান্ত সজলের পরিচালনায় দিলারা জামানের সঙ্গে একটি নাটকে অভিনয় করবেন। আবুল হায়াতের ৭৫’তম জন্মদিনে প্রকাশিত হয়েছিলো দেশের নানান অঙ্গনের ১০০জন বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখা নিয়ে ‘সার্থক জনম হে তোমার শিল্পী সুনিপুণ’।
আবুল হায়াতের প্রবল ইচ্ছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিনয়ের উপর ক্লাশ নেয়া। কোন প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে তিনি তা ভেবে দেখবেন বলে জানান। তিনি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তার অভিনয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় আবুল হায়াত মে প্রথম ‘টিপু সুলতান’ নাটকে অভিনয় করেন। নাগরিক নাট্যস¤প্রদায়ের হয়ে মে তার প্রথম নাটক আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘারে রোঁ’। টিভিতে তার প্রথম নাটক ছিলো জিয়া হায়দারের প্রযোজনায় ‘ইডিপাস’। মে তার নির্দেশত প্রথম নাটক ‘আগন্তুক’ এবং টিভিতে ‘হারজিৎ’। প্রথম অভিনীত সিনেমা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। ১৯৭৪ সালে আলী যাকেরের নির্দেশনায় মে ‘বাকী ইতিহাস’ নাটকে অভিনয় করে তিনি ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ইনট্রিডিউসিং ন্যাচারালিস্টিক অ্যাক্টিং অন বাংলাদেশ স্টেজ’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।