জেলার নাঙ্গলকোটে ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভা লো ফলনের পাশাপাশি ধানের দামও ভালো পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ায় আউশ ধানের এবার বা¤পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষকরা উন্নত আউশ জাতের ব্রি. ধান-৪৮ চাষ করে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ফলন পেয়েছেন। উপজেলা সদরের বান্নাঘর গ্রামের কৃষক আছমত আলী বাসসকে জানান, আগে আমরা স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করতাম। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা ব্রি ৪৮ জাতের বীজ ব্যবহার করে চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হয়েছে। যদিও চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আউশের আবাদে মনোযোগী হয় কৃষক। হানগড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ব্রি-৪৮ আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেল। রোরো ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা আউশ ধান রোপণ করেন। মাত্র এক শ’ দিনেই আউশ ধান কৃষকদের ঘরে আসে। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই একই জমিতে কেউ চলতি আমনের চারা রোপণ করেছে কেউ আগাম আলু চাষের জমি তৈরি করে রেখেছে।
উপজেলার দাউদপুর, ধাতিশ্বর, চৌগুরী, মাঝিপাড়া, গোত্রশালসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে দেখা যায় কৃষকরা আউশ ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক আসলাম মিয়া তার দুই বিঘা জমির ধান কাটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আমি এবার দুইবিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান কাটার সাথে সাথে জমিতে ৯০০মণ হিসেবে ১৫ মণ বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান বাসসকে বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এ উপজেলায় আউশ ধানের চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। এতে সেচ নির্ভর বোরো আবাদের পর তারা বৃষ্টির পানিতে আউশ আবাদ করেছে। যে সময়টা জমি পতিত থাকত। ফলে আউশের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম থাকায় এবং বেশি দামে খড় বিক্রির কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আউশের আবাদ।