একমাত্র কন্যা জান্নাতুল মাওয়া। বয়স সবেমাত্র ১৫ মাস। দুরন্ত এই শিশুর তিন মাস আগেই থেমে গেছে দুরন্তপনা। হার্টে ধরা পড়েছে ছিদ্র। সদা হাসিখুশি থাকা জান্নাতুল এখন শয্যাসায়ী। এ সন্তানকে বাঁচাতে থামছে না বাবা-মায়ের কান্না। যেন এই কান্না ছাড়া আর কোনো সামর্থ নেই তাদের। কারণ, নুন আন্তে পান্তা ফুরায় পরিবারটির। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের পাইকা গ্রামে দেখা হয় আজমির ম-ল ও মলিদা বেগম নামের এই দম্পতির সঙ্গে। এসময় তাদের অসুস্থ কন্যাশিশু জান্নাতুল মাওয়াকে কোলে নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁদছিলেন অঝোরে। জানা যায়, অতিদিন দরিদ্র পরিবারে ছেলে আজমির ম-ল। একমাত্র বাস্তভিটা ছাড়া অন্য কোনো সহায় সম্পদ নেই তার। জীবিকার তাগিদে রিকশা চালিয়ে কোনমতে জীবনযাপন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে একমাত্র কন্যাশিশু জান্নাতুল মাওয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্তানের চিকিৎসাসেবা নিতে শুরু হয় দৌঁড়ঝাঁপ। ধারবাহিকতায় প্রায় তিন মাস আগে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুল মালেক সরকার জানিয়েছে জান্নাতুলের হার্টে ছিদ্র রয়েছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে অপারেশন করতে হবে। শিশু জান্নাতুল মাওয়ার পিতা আজমির ম-ল কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, সন্তানকে উন্নত চিকিৎসা নিতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার দরকার। কিন্তু এটি অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। ইতিমধ্যে চিকিৎসা ব্যয়ে একমাত্র সম্বল রিকশাটি বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে লক্ষাধিক টাকা ঋণও করা হয়েছে। এখন সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসতে হচ্ছে। সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহনে আর কোন সামর্থ নেই তার। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সন্তানের ন্যায় আমার সন্তানও বেঁচে থাকুক পৃথীবিতে। আল্লাহর কাছে এমনটা প্রার্থনা করছি। সেই সঙ্গে দেশের দানশীল বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। অগ্রণী ব্যাংক লিঃ, ঢোলভাঙ্গা শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ০২০০০১৭১৭৬৯৪০ ও বিকাশ ০১৭২২৯৪৯০১১।