নানা জটিল রোগে আক্রান্ত নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হুমায়ুন কবীর। সহায় সম্বল, ভাতা সবকিছু নিজের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করে এখন নিঃস্ব। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে চিকিৎসা করছেন তিনি। ডাক্তারগণ তাকে বেঁচে থাকতে হলে আরও উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এমনিতেই নিঃস্ব এই মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে উন্নত তো দূরের কথা গ্রাম্য ডাক্তারের নিকট গিয়ে চিকিৎসা নেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে বৃদ্ধ বয়সে তার চিকিৎসা থেমে যাওয়ায় পরিবারের আশঙ্কা। টাকার অভাবে সুচিকিৎসা করা হবেনা। এভাবেই হয়ত অর্থাভাবে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হবে। এভাবেই হয়ত অর্থাভাবে মারা যাবেন দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়া এই বীর সৈনিক। পায়ে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক না থাকায় হাঁটা চলা করতে পারেননা তিনি। এছাড়া বুকে, পিঠে, মাথায় নানা রকমের জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। একমাত্র সম্বল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। আর এই সামান্য টাকায় তিনি পরিবার চালাবেন না চিকিৎসা নেবেন এই চিন্তায় দিশেহারা তার পরিবার। তার ছেলে লেনিন কবির শারীরিক প্রতিবন্ধী থাকায় পড়াশোনা করতে পারেনি এবং তার জন্যও নিয়মিত চিকিৎসা খরচ করা হচ্ছে। অসুস্থ এ বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সাহসীকতার সাথে যুদ্ধ করেছেন এবং কয়েকবার আহত হয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে তিনি তার টিমের সাথে কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর, নিখলী ও অষ্টগ্রামে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং তাদের প্রতিরোধে কিশোরগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়েছিল। তিনি জানান, আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার আকুতি শুনবেন। আমি অসহায় এক মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে স্বাধীন করতে নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছি। দেশকে সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করেছি। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশকে গঠন করার কাজও করেছি। এখন আমরাই অসহায়। আশা করছি জাতির জনকের কন্যা আমার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। ছেলে লেনিন কবির বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আব্বাকে ভাতা দিচ্ছেন এজন্য শুকরিয়া। আব্বার চিকিৎসা করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।