বহুদিন পর জনসমক্ষে দেখা গেলো উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন-কে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রথম সামরিক কুচকাওয়াজ। যদিও এদিন কোনো নতুন অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি, তবে এদিন সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নায়ক কিম জং উন। গত কয়েক মাস ধরে লক্ষণীয়ভাবে ওজন হ্রাস করেছেন তিনি। অনেকেই বলছেন কিম কে আগে যেমন লাগতো ওজন হ্রাসের পর তাকে অনেক ফিট লাগছে। বছর ৩৭ এর এই নেতা বেশ কয়েকমাস ধরেই জনসমক্ষে আসেন নি। যার জেরে কেউ কেউ তার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবারের প্যারেডে নিজের দাদা কিম-২ সুং-কে শ্রদ্ধা জানাতে কিম ঠিক তার মত হেয়ার কাট করে এসেছিলেন।
দেখে মনে হচ্ছিলো ৭০ বছর আগের কিমের দাদা বুঝি প্যারেড দেখছেন। শেষ কয়েক মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কমপক্ষে ৪৪ পাউন্ড ওজন কমিয়ে ফেলেছেন বলে জানাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একজন আইনপ্রণেতা। জুলাই মাসে একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই তথ্য সামনে আনে। পিয়ংইয়ংয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা কুচকাওয়াজে স্লিম-ট্রিম কিমকে সারাক্ষন হাত নাড়তে দেখা গেছে সেনার উদ্দেশে। অতিরিক্ত ওজন এবং ধূমপানে আসক্ত কিমের পরিবারে হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। তাই তার স্বাস্থ্যের ওপর অনেকেরই নজর ছিল। কিমের ওজন হ্রাসের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে চলতি বছরের জুন মাসে, যখন তিনি মিটিং উপলক্ষে জনতার সামনে আসেন। উত্তর কোরিয়ার কিছু পর্যবেক্ষক তখন বলেছিলেন যে কিম, যিনি প্রায় ১৭০ সেন্টিমিটার (৫ ফুট, ৮ ইঞ্চি) লম্বা এবং এর আগে ১৪০ কিলোগ্রাম (৩০৮ পাউন্ড) ওজনের ছিলেন, তিনি হঠাৎ করে ১০-২০ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। তবে একটা প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ বিশ্ববাসীর কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে এতো মাথাব্যাথা কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন , কিমের স্বাস্থ্যের ওপর শুধু উত্তর কোরিয়া নয়- সিওল, ওয়াশিংটন, টোকিওর পাশাপাশি বিশ্বের একাধিক দেশের নজর রয়েছে। যে দেশ আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলির বিরুদ্ধে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সেই দেশের রাষ্ট্রনায়ক এখনও নিজের উত্তরসূরি নির্বাচন করেন নি। যা বিশেষ করে আমেরিকার কাছে কৌতুহলের কারণ তো বটেই। উত্তর কোরিয়া, কিমের নেতৃত্বে দেশে কী কাজকর্ম চলছে তা নিয়ে কখনোই মুখ খোলেনি, গত এক বছরে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের সুরক্ষা বলয় এতটাই জোরদার করা হয়েছে যে, দেশের অভ্যন্তরে কী চলছে তা টের পাচ্ছে না কাক-পক্ষীও।
সূত্র :tribuneindia.com