বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ইতিহাসের শিক্ষক সাদেকুলের কৃষিতেও সাফল্যের ইতিহাস

বাসস:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জেলার সদর গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম। শিক্ষকতার পাশাপাশি শখের বশে বাসার পাশে পতিত জমিতে ড্রাগন, মাল্টা ও পেঁপের যৌথ বাগান করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। যেনো ইতিহাসের শিক্ষক সাদেকুলের কৃষিতেও সাফল্যের ইতিহাস।

এছাড়াও বাগানের পাশাপাশি মসলা জাতীয়, আদা, রসুন ও হলুদ একই বাগানে চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। এলাকার কৃষকরা এখন বাগান করার জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন সাদেকুলের কাছে। আর আর্থিকভাবে ভালো লাভবান হওয়ায় সেই শখের যৌথ বাগান এখন নেশা হয়েছে এই শিক্ষকের। আর নেশা থেকে পেশায় রূপান্তর করতে চান এই কাজকে সাদেকুল।
বাসার পাশে ফেলে রাখা জমিতে মাল্টা, পেঁপে ও ড্রাগন ফলের সারি সারি গাছ। ড্রাগন ফলের গাছের সাথে উর্বর মাটিতে মসলার চাহিদা পূরণে করেছেন আদা, রসুন ও হলুদ চাষ। সদর উপজেলার গড়েয়া বাজার এলাকায় চোখ জুড়ানো এমন ফলের বাগান দেখতে এলাকার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন।
শিক্ষক সাদেকুল তিন বছর আগে শখের বশে পরীক্ষামূলকভাবে অল্প কিছু জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান শুরু করেন। বাগানে আশানুরুপ ফল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে সেখানে মাল্টা গাছের চারা রোপণ করেন। এখন তিন বছরের মাথায় তার একই বাগানে মাল্টা, পেঁপে, নারিকেল, আদা, রসুন ও হলুদ চাষ করছেন। গত ২ বছর যাবৎ মাল্টার ফলন অনেক ভালো হওয়ায় বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন তিনি।
এলাকার কৃষক আকবর আলী ও রহমত উল্লাহ বলেন, বাগানটি দেখতে অনেক সুন্দর। আর এই বাগানের মাল্টা অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। তার সাথে ড্রাগন ফল, আদা, রসুন, পেপেঁ সব করেছেন তিনি। তার এই বাগান দেখে আমরাও বাগান করতে উৎসাহী। তাই সাদেকুলের কাছে বাগান করার পরামর্শ নিতে এসেছি।
সাদেকুল বলেন, পতিত জমি ফেলে না রেখে সহজেই ফল বাগান করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররা এসব বাগান করে লাভবান হতে পারবে। ৬০ শতক জমিতে মাল্টা, পেঁপে ও ড্রাগন ফলের যৌথ বাগান করতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু গত দু’বছরে মাল্টা, ড্রাগন, আদা, পেঁপে বিক্রয় করে ইতিমধ্যে আমার কয়েক লাখ টাকা আয় হয়েছে। আগে শখের বসে এই আবাদ শুরু করেছিলাম। এখন শখ নেশায় পরিণত হয়েছে। আর এই নেশাকে পেশায় পরিণত করতে চাই কারণ আমার আর্থিক অবস্থা ও অবস্থান এই বাগান দিয়েই পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, জেলায় এভাবে বাগান করে অনেকে লাভবান হচ্ছে। সাদেকুল অনেক স্বাবলম্বী ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন ফল বাগানে। তার সাথে এই বাগানের ফল জেলার পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষি অফিস থেকে সবসময় এসকল কৃষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর এই সাদেকুলের কাজ দেখে অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়ে এই শখের বা ফল বাগানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। আগামীতে এ জেলায় এভাবেই ফল চাষের সম্প্রসারণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com