বিদেশে যেতে হলে বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রথমে জেলে যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে আইন কমিশনের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। কয়েক দিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দর। এরই প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ- স্থগিত করে দেয়া মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে এ মতামত দেয়া হয় বলে শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়ে দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য মতামতসহ প্রস্তাব আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা ওনার (খালেদা জিয়া) দ- আরো ছয় মাস স্থগিতের জন্য মতামত দিয়েছি। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- আগের মতো এই দুটি শর্তে তার দ- স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে বলেও জানা গেছে।