শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন

স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন। ২০২৩ সাল থেকে নতুন এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে দুই দিন ছুটি হবে।’ এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহে দুই দিন ছুটির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগেও চালু করতে পারে।

পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ২ দিন ছুটির প্রস্তাব করা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে নতুন শিক্ষাক্রমের একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখার খসড়ায় অনুমোদন দেন। ওই দিন দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করা হবে। আর ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হবে না। তাদের লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে বলেও জানানো হয়। এনসিটিবি জানায়, বিদ্যমান সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার ছুটি হলে ক্লাস হবে ১৮৫ দিন।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে। রূপরেখায় বলা হয়, জাতীয় দিবসগুলোতে বিদ্যালয় খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীদের দিবস পালনের কর্মসূচিও শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে রূপরেখায় জানানো হয়, ওইসিডি ও সহযোগী দেশগুলোর বাৎসরিক গড় কর্মদিবস ১৮৫ দিন। ইউরোপের ২৩টি দেশের বাৎসরিক গড় কর্মদিবস ২৮১ দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com