নরসিংদীর বেলাবতে শেষ সময়ে জোরেসোরে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমাতে মানানসই রং, চোখ, হাত-পায়ের গাঠনিক রুপ, ম-ব সাজানো, ডেকোরেশন, সাউ- এ- লাইটিং কার্য সম্পাদন করার আনুষ্ঠানিকতা সহ নানাবিধ কাজ চলছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা। বেলাবতে সর্বজনীন এই উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা আয়োজন। তবে করোনা ও বিধিনিষেধের কারণে পূর্ব হতে প্রস্তুতি নিতে না পারায় এ ব্যস্ততা বেড়েছে বলে জানায় প্রতিমা কারিগররা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত বেলাব ও পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে আনা কারিগররা। মূর্তির সার্বিক রুপদানের পরেই শুরু হবে ম-প সজ্জার কাজ। ৬ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষ। প্রতিমা শিল্পীদের কর্মস্থলে শিল্পীর নিপুণ হাতে ছোঁয়ায় একটু করে ফুটে উঠছেন দেবী দুর্গা। দুর্গতিনাশিনীকে বরণ করতে বেলাবতে প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। দিন-রাত এক করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। ম-প ঘিরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে এখানে। কুমোর পাড়ায় প্রতিমা কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভক্তরা। এবার উপজেলায় ২৩ টি ম-পে হবে দুর্গোৎসব। সার্বজনীন এই উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত উপজেলা আয়োজক কমিটি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেলাব শাখার সভাপতি বাবু বীরেশ্বর চক্রবর্তী জানালেন, শেষ সময়ে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ। ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাৎসব। এবার ঘোটকে করে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা, আর ফিরবেন পালকিতে করে। বেলাব থানা অফিসার ইনচার্জ শাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে প্রতিটি ম-বের পাহাড়ায়। সরকারি নির্দেশনা মেনে সকলকে ধর্মীয় আচার পালনের আহবান জানাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, করোনা মহামারীতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত আইন কানুন মেনে ধর্মীয় আচারটি পালন করার অনুরোধ রইল। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।