ঢাকার দোহার পৌরসভার খারাকান্দা সড়ক ও ড্রেন নির্মাণকাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ছয় মাসেও এর কাজ শেষ হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। রাস্তাটির কাজ শেষ না হওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ড্রেনের কারনে ভাঙা সড়কে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পৌরসভাকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেনে বিচ্ছিন্নভাবে দায়সারাভাবে কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। এই সড়কটি উপজেলার মাঝিবাড়ি থেকে আবেদ আলী মেম্বার বাড়ি পর্যন্ত পৌরসভা ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই সড়কে ড্রেনের ধীরগতি কাজের কারনে এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের গলায় কাটা হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এরমধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে পানি জমে পুকুরের মত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একদিন কাজ চলে তো দুদিন বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় তাঁদের ভোগান্তির মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আফছানা আক্তার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই রাস্তটির কাজ বন্ধ রয়েছে। ড্রেনের জন্য খুরে রাখা রাস্তায় ঘরের একাংশ ভেঙে পরে গিয়েছে। এখন আমার ঘর যদি পুরোটাই পরে যায় তাহলে এর দায় ভার কে নেবে। রশিদ নামে এলাকার আরও এক বাসিন্দা জানান, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা এখন কোন শ্রেণীতে আছে জানিনা। কোন প্রকার সুবিধা পাইনা আমরা,ট্যাক্স দেই প্রতি বছর। অথচ আমাদের রাস্তার অবস্থা বেহাল। কেউ দেখার নেই। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উসা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ জুলহাস জানান, এখন বর্ষার মৌসুম চলছে আর ড্রেনের কাজ করতে গেলে ১২ ফুট মাটি কাটতে হয়। মাটি কাটলে পানি উঠে সে জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি কমলেই আমরা কাজ শুরু করবো। এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কাজের মেয়াদকাল এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করবে আর এখন বর্ষার সময় তাই মাটি কাটলে পানি উঠে সে জন্য কাজটা এখন বন্ধ আছে।