“কুরআন-সুন্নাহ্র পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা থাকতে হবে” এমন মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বিশ্ব বরেণ্য ইসলামিক স্কলার, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। কক্সবাজারের ঝিলংজায় অবস্থিত ইমাম মুসলিম (রা.) ইসলামিক সেন্টারে বিশেষ দরস (পাঠদান) ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার শিক্ষা জীবনের পুরোটাই ক্বওমী ঘরানার। আমার লালিত স্বপ্ন ছিল সুদীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত ক্বওমী শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং সরকারী স্বীকৃতি আদায়। দীর্ঘদিন ধরে মহৎ এই কাজটি এগিয়ে নিতে নিরলস প্রচেষ্টা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।” তিনি ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের জযবাত তথা আবেগতাড়িত না হয়ে বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনামাফিক চলার এবং যোগ্যতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, কুরআন, হাদীস, আল ফিকহুল মোকারিন তথা বিভিন্ন মাযহাবের উপর তুলনামূলক স্টাডি এবং বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, উলুমে আছরিয়া (আধুনিক বিজ্ঞান), আহওয়ালে হাজেরা (সমসাময়িক জ্ঞান) সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হবে। জানতে হবে বিদগ্ধ আলেম, যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলারদের পাশাপাশি ওরিয়েন্টিস্ট তথা প্রাচ্যবিদদেরও। স্টাডি করতে হবে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর। তিনি তাজকিয়াতুন নাফস তথা আত্মার পরিশুদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, “বহুমুখী ইলম অর্জনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ আলেম হওয়া যায় বটে, আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে বহুমুখী ইলম অর্জনকারী আলেমদের জীবনের কোনো কিছুই সুন্দর ও সুস্থভাবে পরিচালিত হয় না।”