শস্য বিন্যাস কর্মসূচির আওতায় রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষ পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় কৃষকদের। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি না থাকে সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’।
শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় কাঁচা রাস্তা রয়েছে এক হাজার ৫৯৬ কিলোমিটার এবং পাকা রাস্তা রয়েছে ৩৪২ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার। রাস্তার দু’পাশের জমি গুলো মূলত পতিত হিসেবে পড়ে থাকে। সেই পতিত জমি গুলোতে বিভিন্ন প্রকার সবজি বিশেষ করে লাউ, শিম, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, পুইশাক ও করোলা চাষ করা যায় সহজেই। সরেজমিন পাঁচবিবি উপজেলার দহতপুর থেকে পাথরঘাটা রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন আলম হোসেন, আব্দুস সাত্তার ও আব্দুর রহমান। সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয় করা সম্ভব হয়। দহতপুর গ্রামের আলম হোসেন জানান, একই মাচা ব্যবহার করে সারা বছর বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। রাস্তার পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তারা। । জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। একই মাচা ব্যবহার করে সবজি চাষ করায় উৎপাদন খরচ কম পড়ে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। যার কারণে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা পতিত জমিতে সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায় শস্য বিন্যাস কর্মসূচির আওতায় পতিত জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।