ককক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সাইটপাড়ায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ীর লোকজনকে পুনঃবাসন না করে কৌশলে উ”েছদ করার পায়তারা চলা”েছ বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই বাড়ীঘরে বসবাসরত নারী পুরুষের ঘুম কয়েকদিন ধরে হারাম হয়ে গেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত আহমদ বেলালের পুত্র নুরুন্নবী বহদ্দারসহ অনেকে জানান, ভয়াল ১৯৯১ইং এর ঘূর্ণিঝড়ের জলো”ছ¡াস পর শতাধিক বাস্তহারা পরিবার উত্তর সাইটপাড়া অর্থাৎ বর্তমান সিঙ্গাপুর প্রকল্পের উত্তর পার্শ্বে বেড়িবাঁধের উপর বসবাস করে আসছেন। সেখানে একটি মসজিদ, কবর¯’ান এবং নূরানী ফোরকানিয়া মাদ্রাসাও রয়েছে। বিভিন্ন দূর্যোগের প্রকোপের কবলে পড়ে অনেকে অন্যত্রে চলে যায়। কিš‘ তাদের বসবাসের জন্য অন্য কোন জায়গা না থাকায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যেদিয়ে তাঁরা সেখানে বসতি করে আসছে। গত এক বৎসর পূর্বে সিংগাপুর প্রকল্পের দায়িত্বরত ড্রপ’ এনজিও ক্ষতিগ্রস্তের সম্মূখীন হওয়া অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ সহ পুনঃবাসনের আশ্বাস দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করেন বলে জানান। কিš‘ তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের যোগাযোগ না করে “এম ৯০৮ ড্রেজিং প্রজেক্ট” ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেন। ফলে ওই এলাকায় বসবাসরত গরীব, অসহায়, লোকজনের মাঝে অজনা আতঙ্ক চলছে। এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য উক্ত প্রকল্পের সাব ঠিকাদার চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার আল ইমরান থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মাঠির কাজ চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি বসবাসরত বাড়ীঘরের জন্য বিকল্প কোন ব্যব¯’া না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে উ”েছদ করা হবে না। তবে তাদেরকে আজ না হয় কাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অন্যত্রে সরিয়ে নিবেন। এ কারণে ওই এলাকার নারী-পুরুষের চোখে ঘুম নেই! কখন যে তাদেরকে বসতি ঘর ছেড়ে দিতে হবে। এদিকে ওই এলাকার নুরন্নবী সহ অনেকই কান্নায় ভেংগে পড়ে সাংবাদিকদের জানান, তাদেরকে উ”েছদ করার পূর্বে ক্ষতিপুরণসহ পুনঃবাসনের ব্যব¯’া না করলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাস্তাঘাটে বসবাস ছাড়া তাদের আর কোন বিকল্প নেই। মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার থেকে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- এ বিষয়টি শুনে আমি খুবই মর্মহত এবং সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।